লোষ্ট্র পথের অজানা পথিক - বিবাগী অবধূত
গিরিধারী কুঞ্জ গুহা ঠিকানা ধরি চেখের পাতায়
ললাটে বেদনারেখা, খুঁজে ফেরা; কোথা নোঙর
কিবা অচেনা জনপদে সুদূর বন্দর,
সাগর সৈকত ধরে পাইন হিজলের নিঃসঙ্গতায় নিজেরেই খোঁজা,
কষ্টের চন্দন ললাটে এঁকে বেদনারে করে বরাভয়,
খোঁজ করা; কোথা কে হারাল!
ছায়া কার দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হল...


মন এক ধরেছে হৃদে – পামর অপার
বোঝে না সে চাওয়া পাওয়ার ক্ষুন্নি-অভিলাষ
তাড়িয়ে ফিরে তারে চেনা ঠিকানায়
মধ্যদুপুর যেথা উদাসে হারায় ধুলোর আঙিনায়
সুরভিরা গন্ধ ছড়ায় স্মৃতিমেদুর দাওয়ায়
নীরব পতনে ঘটে স্মৃতির প্রতিভু বিলাসের যবনিকা...
তিরতিরে নিশিবোল আজো আধোঘুমে দোলা দিয়ে যায় -
মন তাই ক্ষণে ক্ষণে উদাসে পালায়...


স্বপ্ন ছাওয়া নদীর বাঁকে, ভাবনাগুলো হারায় পাঁকে। সময়ের ভাঙাতীরে ভাসে স্বপ্ন-মেঘের ভেলা, হৃদয় পাথারে ভাসে আলোছায়ার খেলা। শান্ত দিঘির জল আয়না সম টল-মল নীল, ঘন মেঘের সজল আকাশ এখানে বিলীন। তবুও রাখে ধরে অবিচল মনোবল, কূলে যেতে তরী খোঁজা বৃথা অবিরল।


দীপ্ত প্রহরের বিভীষিকাগুলো চেতনার নির্ঘুম বলয় ভেদ করে নির্মেদ প্রাণের উল্লাসে ফেটে পড়ে। রজত শুভ্র চাঁদিমার ছায়াপট অপসৃয়মান নদীজলে মিশে হারায় প্রশান্ত সায়রে। জনান্তিকের ধ্বনিসম্ভার কর্ণমূলে অনুভবের স্ফূরণ তোলে না বড়। ভালবাসার প্রজাপতি ক্লান্ত শরীরে পাখা ঝাপটায়। দিনাবসানে ওরাও সুস্থির ঠিকানা খোঁজে ঠিক আমারই মত।