উড়ে এসে জুড়ে বয় কানে কানে কথা কয়
ধরতে গেলে যায় পালিয়ে হাসে মুখে আঁচল গুঁজে
এমন ধারা জ্বালা ব’ল কার প্রাণেতে সয়?


দুপুর বেলায় ক্ষিপ্র ক্ষুধায় ভাতের থালা নিয়েছি পাতে
ঝোলমাখা ভাত গিলছি হাতে সময় হ’ল তখন যে তার
সুরসুরি দেয় ঘিলুয় চড়ে, আমি অধম রই নিরুপায়।


রূপচর্চায় বসেছি কেবল; মেহদি জড়ান হাত দু’টি
কখনো বা মাস্ক পরেছি, মেনিকিউর নয় টিউন -
এমন সময় উদয় হ’ল রূপের ডালায় ছড়িয়ে ভুবন।


প্রিয়ার সাথে সঙ্গোপনে করছি সময় ভাগ যখন
মারছে এসে উঁকিঝুঁকি আঁকতে মনে নিজের উলকি
কেমন ব'ল অসভ্যতা, নেই কোন তার লজ্জা-শরম-বোধ!


কখনো কোন রাত-বিরেতে হাঁটছি একা পুকুর ঘাটে
সময়-অসময় প্রকৃতির ডাক - নেই তবু তার হুঁশ
সহসাই এসে কষছে দ্বারে প্রাণ বিদারী জোর করাঘাত।


কাটব দাড়ি ভোর বেলাতে, স্নানে তখন শ্যম্পু চুলে
এলেন তিনি চুলকাতে পিঠ কেমন ধারা ঠাট্টা ব’ল,
চাপে মাথায় ভূতের নেশা, দৌড়ে আসি খুঁজতে মসি।


তখনো সে দাঁড়িয়ে দূরেই দেখছে মজা খিলখিলিয়ে হেসে
কেমন করে সই জ্বালা তার, মন পড়ে রয় খেরোখাতায়
করলে মানা বিষম ঝোঁকে, সুরসুরি দেয় নাকে মুখে।


কত করি সাধাসাধি একটু ছোঁয়া পেতে, দেয় না ধরা তবু
ধরতে গেলে তারে, তা-ধিন-ধিন নাচে, আমি প্রমাদ গুনি
মর্জির তার পাই না হদিস, হা-পিত্যেশে মরি, তবু তারেই স্মরি।


নিদ্র দেবীর আরাধনায় হচ্ছি যখন রত, তখন সে কেলিয়ে দাঁত
হাসছে অবিরত, চকিতে বালিশ লেপ-কাথা সব ছুঁড়ে, দৌড়ে এলাম
জাপটে ধরতে তারে, ফুরুৎ করেই পালিয়ে গে’ল আমায় ধোঁকা দিয়ে।


কখনো আবার পেলে বাগে ধরেই বসি আঁচল চেপে
অনেক চেপে নিংড়াতে পাই রহস্যময়ীর একটুখানি রস
ভীষণ কৃপণ; চায় না দিতে কভু যে তার পূর্ণ সুধার কলস।


তারপরেও কাটে না ঘোর, যায় না নেশা তার রূপের
এমন ধারা ঠাট্টা বলো কার প্রাণে আর সয়?
নামটি তার আমি জানি, কবিরাও জানে নিশ্চয়!
--------------------------------------
• কবি বন্ধুরা, আপনাদের চেনা-জানা এই রহস্যময়ীর নামটি বলুন!