উদরপূর্তির ফসল নয় আর,
নয় তো চাষ শষ্যদানারও কিছু –
লিজ নেবো এবার স্বপ্ন ধরার মাঠ
করব আবাদ পুষ্ট উজ্জ্বল স্বপ্নবীজের
সোনার স্বপ্নে ভরব এবার গোলা।


মাঠের ‘পরে জ্যোৎস্না প্রসূন মর্মর সুর তোলে -
নীলকণ্ঠী চঞ্চুতে অবিরত গান গেয়ে যায়
ছলাৎ ছলাৎ নদীজলও হরষে লুটায়
তুমি আমি দুজনায় গেয়ে যাব আনমনে
তিমির বিদারি মন ভরাব জোছনায়।


জল পারাবত চূর্ণ করো না সখা
স্বপ্নবীথির শীর্ষ চূড়ায় দেখব এবার
বিরহী তাবুর লেখা ভেজা উপাখ্যান
অমল ধবল ঊষ্ণীষ শিরে দাঁড়িয়ে আছেন
মহান যোগী; করতে জগৎ অবলোকন।


পর্বত চূড়ায় মায়াবী কুজ্ঝটিকা -
কখনো রাঙায় মন কখনো সে করে সঙ্গিন
চেয়ে থাকি কুয়াশার পথ ধরে -
আসবে ফিরে পথ চিনে সেই সে সুখের দিন
স্বপ্ন মাঠের উপর দিয়ে স্বপ্ন রথে চড়েই
তুমি আমি, আমি তুমি সেই সুখে বিলীন।
____________________
⭐কবিতাটি "বাইনারি সুখের পিদিম" (পৃষ্ঠা-৬৮) কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।