তুমি চলে যাবার বিকেলটা
গড়িয়ে আসে ; টুপ করে।
হাঁটু গেড়ে গাদাগাদি করে
খুব কাছে সেঁটে বসে,
দিতে ভুলে যাওয়া টিফিনবাক্সটাও।


তাতে ছিল না আলুর দম
কিংবা ক'মুঠো ভাত।
তাতে ছিলো না বরাবরের মতো
একটি রক্তজবা ফুল।
তাতে কি ছিলো, তা
আজ আর নাই বা জানলে!
অজ পাড়া গাঁয়ে সে আজ
বড় জড়সড়।
আয়না নাম নিয়ে
ঝুলে থাকা প্রতিবিম্ব
গা বেয়ে ধীরে নেমে যায়।


আলোর টুকরো গুলোর দিকে তাকিয়ে
মনে পড়ে, কেমন তুমি
চেয়ারে ঝিম মেরে বসে ছিলে
এক পরমুখী ভাবনার প্রহরে।
তাতে ছকঘরে তালে তাল মিলিয়ে
চাল দেয়ার রসদ পেতে বুঝি?

ভোল পাল্টে ভেসে আসা
সুঘ্রাণ হয়ে যেতে পারতে খুব!
আমি দেখতে পেতাম, কেমন
কার্নিশ বেয়ে নেমে আসছে সুখ, কাজল,
জীবিকা, রেণু আর জলছাপ।
আর এখন! আজকাল
আয়নাটাকে প্রলেপ দেয়া
নিখুঁত কাঁচ ছাড়া আর
কিছুই মনে হয় না।
মুখ ফিরিয়ে নেয়া যায় তাই অবলীলায়।


ডুবে যাওয়ার আগে, আলোয়
ডুবিয়ে রাখা
স্যাঁতসেঁতে অনুভূতির দিকে
তাকিয়ে দেখে নিই - অনাগত ভবিষ্যৎ।
টেনে নিয়ে যাওয়া মুখোমুখি
অবেলায় হাঁসফাঁস লাগে খুব।


মুক্তি তেও মুক্তির স্বাদ মেলে না যেখানে।


পায়ে পায়ে গড়িয়ে চলা
রক্তজবা রঙের ছোপে
ছোপ মিলিয়ে চুরি করা সেই
দেয়ালের দিকে তাকাই বারং বার  ;
নিজের নয় এতটুকুও।
আর নিজের নয় বলেই হয়তো;
হয়েছে এতো আপন!