চেনা পথঘাট  নিজেই লোপাট করে দিয়েছি আর আমার দুই প্রান্ত সর্বদাই যেন সমমেরুকে ধরতে গিয়ে বিকর্ষিত হয়ে ঠেসে চেপে আসছে। কখনো প্রেতেরা এসে বলতে চায়, সাবকনশাস মাইন্ড নিয়ে আর বিভ্রান্ত হয়ো না, শেষরাতে বিনা কারণে এখনো ফুলচুরির ঘটনা ঘটে। তীব্র শীত উপেক্ষা করে এখনো কেউ মুঠো মুঠো গাঁদাফুল ছিঁড়ে নেয় আর ঘরে ফেরার আগেই পাপড়ি ছিঁড়ে ছিঁড়ে ছড়িয়ে রাখে রাস্তায়। প্রেতেদের আমি বলতে চাই, পরিশ্রমী সেই ফুলচোর নিশ্চয়ই ঘরে ফেরার আগে হাতের গন্ধ নেয় এবং হাত ধুয়ে ফেলে। কার্যকরণহীন ঘটনার পাশাপাশিই একসাথে থাকে চরমতম বস্তু, বস্তুদের ইহজাগতিকতা এবং অন্যান্য প্রান্তিক অবস্থান।
এসব চেপে রাখলেও প্রেতেরা আমার চিন্তা ঠিকই ধরে ফেলে আর হুমকি দেয় প্রতিরাতে এসে উপদ্রব করবে ।
আমি ভয় পেয়ে আমার চারপাশ এবং নিজের দেহেও ঋতু বিবেচনা করে  অসংখ্য জানা অজানা ফুলের চারা রোপণ করে রাখি। সম্ভবত এরপরে কি ঘটবে সে বিষয়ে সমঝোতায় আসতে না পেরে ফুলচোর নিহত হয়েছে  প্রেতেদের  হাতে,অথবা  নিজের জমানো কাঁটাস্ত্র দিয়ে তাদের নিশ্চিহ্নও করে দিতে  পারে। তবে হন্তারক যেই হোক, কেউ আর আসে না রাতে ।  আমাকে মিছেমিছি সত্যাসত্য বোঝানোর সব রকম প্রয়োজন ফুরিয়েছে।