ইদানিং ডাস্টবিনেও মেলে না খাবার
বড় বাবুদের ফেলতেও কৃপণতা-
ক্ষুধার্ত শরীর,আজ
এক চিমটি দানাপানি পরেনি পেটে
তিন-চার বছরের শিশু লতিফা’র।
চোখ ঝাপসা হয়ে আসে
দু’টুকরো রুটি,দু’নোলা ভাতের জন্য
হাত বাড়ায় দিগ্বিদিক
ছোট ছোট দোকান আর
সারি সারি হোটেলের দিকে
অসহায় অপলক করুণ দৃষ্টিতে
তাকিয়ে থাকে সারাক্ষণ।


বৃক্ষের মতো মাটি ফুঁড়ে বেড়িয়েছে
না-কী মানুষ প্রাণীর বৈধ কিংবা
অবৈধ ঔরষে জন্ম তার,
জানেনা অবুঝ মেয়েটি!
মায়ের দুধের স্বাদ কেমন
মনে পড়ে না লতিফার-
বুভুক্ষু পেট তার,শুধু
বাঁচার জন্য খাদ্য চায় সামান্য
সাধারণ খাবার।


আভিজাত্যহীন চুলে জট্ বেঁধেছে
মাজার পাগলদের মতো
অপরিছন্নতায়,
নামে বাবা-মা’র পদবী নেই,
নেই তার ধর্মীয় কোনো উপাধি
মানবিক দৃষ্টিতে মানুষ কি-না
তাও সে জানেনা,শুধু
জানে ক্ষুধার জন্য উচ্ছিষ্ট খেয়ে
পৃথিবীতে প্রান বাঁচিয়ে
বন্য প্রাণীদের মতো বেঁচে থাকা।  


===কুয়েত=১০-৪-২০১৭.♥