একদিন কোনো মায়াময় নীল সমুদ্রের তীর বেয়ে হেঁটেছিলাম...
তারপর নরম বালির উপর  সোনালি রুপালি মধু অক্ষরে লিখেছিলাম দুটি নাম....
একদিন শ্ঙ্খ বেজেছিল স্নিগ্ধ কুঞ্জবনে
সেদিন দুজনে বসেছিনু নীলাম্বরী মেঘের আড়ালে ,
সুবাসিত পুস্পিত গুলঞ্চলতার কোলে,
গজগামিনী চালে মন্দাক্রান্তা পায়ে তুমি এসেছিলে এগিয়ে
কাশফুলের দোলা লেগেছিল শাশ্বত আত্মার প্রবাহে
সমুদ মন্থন করে পেয়েছিলাম নীলকমল নীলকান্তমণির অমৃতময়ী ঘ্রাণ
নিধুবনে মধুবনে বেজেছিল বাঁশি, কেঁপেছিল গোপিদের প্রাণ
একদিন বুকের জমিতে পুঁতেছিলাম একসারি গোলাপগাছ
হে নারী তোমার ক্ষীরসাগরে ভেসে যায় কার ঐ রঙ্গীন রাজহাঁস?
একদিন তারপরে তুমি আমাকে,ফুলকে,পাখির পালককে ছেড়ে
জোছনার সয্যা ছেড়ে যাচ্ছো চলে....
আমার সূর্য ঢাকে তোমার ভেজা কালো চুলে
বাণপ্রস্থে গ্রস্ত সব ধ্রুপদী সঙ্গীত ধূসর বিষাদে
তবুও তো ভেসে আসে রাত্রিমুগ্ধ নূপুরের সুর অহংকারী নৃত্যের ঝলকে
স্তব্ধ দুপুরে গালে এসে লাগে তোমার মুখের আভা
পাতাঝরা সোনালী অরণ্যের মাঝে বসেছে আজ তোমার স্মরণসভা |