হা ঈশ্বর !
করুণার সাগর! দয়াময়! কতশত নাম
ধরে ডেকেছি তোমায়.......
কত আকুলিবিকুলি করে কেঁদেছি.....
না তোমাকে দেখার কোনো
অভীপ্সা ছিল না
তোমার শ্রীমুখের কোনো অমৃত কথা
শুনতে চাই নি
তোমার চরণতলে সামিল হতে কোনো
স্বর্গীয় উড়ানের কথা ভাবি নি.....


বেশি কিছু তো চাইনি তোমার কাছে,
আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে অন্ধকার
চোখে চাঁদের আলোর একটু বিচ্ছুরন....
আমার হৃদয়ে হাজার বছরের বরফ-পাহাড়
নির্মম কাঁপুনির হাত থেকে বাঁচতে
একটু আগুন,অগ্নিভ আধার ....
রুপকথার রাজপথে  ভাঙাচোরা বাড়ি
একটু নিরাপদ আশ্রয়...
শব্দহীন স্পন্দনহীন রাত্রে
কয়েকটা মধু অক্ষর.....
স্নেহময় গৃহকোণে পাতা নকশি কাঁথায়
সুচারু সূচিশিল্প ও
ঐশ্বর্যময় ললিতকলা......
শেষবেলার অন্তিম বৃষ্টিতে
একসাথে ভেজার মতো
একজন জীবনসাথী......
কিছুই পেলাম না তাহলে !


আমার নিষ্ফল আর্তি
আমার তৃষ্ণা , অশ্রু , অসহিষ্ণুতা
জানিয়ে দিয়েছে
আমার ঈশ্বর আমার থেকেও অসহায়
অথবা সে আগেই মরে গেছে
বা কোনো গুহার অন্তরালে তাকে কেউ
পণবন্দি করে রেখেছে......
আজ তাই শূন্যতাকেই পূজনীয় ঈশ্বর
দীর্ঘশ্বাসকে নৈবেদ্য
নিরাসক্ত বিষণ্ণতাকেই ব্রহ্মময়
বলে ধরে নিয়েছি.....