তাকে আমি প্রথম বুম সিনেমায় দেখি
তার মধ্যে এমন কিছু ছিল
যা আমার হৃদয়ের বিশাল
সাম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী পদে অভিষিক্ত হয়।


আজ প্রায় ৮ বছর হয়ে গেছে,
এই হৃদয়ের আর কারও জন্য স্পন্দন করে নাই।


আমার বন্ধুরা আমাকে পাক-ভারত বিরোধী পন্থী হিসেবে চিনে। হয়ত আপনারা আমার আগের লেখায় সেই পরিচয় পেয়ে থাকবেন।


কিন্তু ভালবাসা কোন নীতি মানে না,
কোন শত্রু চিনে না।


ভালবাসা অন্ধ-কালা-বোবা-বিবেকহীন-স্বার্থপর।


আমি জানি, এ ভালবাসা একতরফা,
ক্যাটরিনা কাইফ হয়ত কখনও জানবে না
বাংলাদেশ নামক দেশে একজন তার জন্য
ভালবাসার বাগিচা নিয়ে অপেক্ষায় বসে রয়েছে।


যদি কখনও সারা পৃথিবী ওর বিরুদ্ধে চলে যায়
তবুও একজন তার হয়ে লড়বে।
ভালবাসা পরিমাপ করার কোন মাপকাঠি নেই,
ভালবাসার কোন প্রকার নেই,
ভালবাসা ভালবাসাই।

আদম-হাওয়া থেকে যে ভালবাসা শুরু
আজও সাধারণ-অসাধারণ কত মানুষের
জীবনে সেই অনুভূতি এসেছে তা লিখে শেষ করা যাবে না,
আমার জীবনেও এসেছে, তা ব্যতিক্রম কি?

সারাবিশ্বের মানুষ যাকে পছন্দ করে তাকেই শুধু আমি ভালবাসি।


আমার ভালবাসা দেখে অনেকে হিংসা করে,
ওর অনেকে অনেক খারাপ খারাপ কথা বলে,
আমাকে পাগল বলে,
বলে সে নাচতে জানে না,
সে অভিনয় পারে না,
সে সালমান খানের প্রেমিকা ।


আমি জবাব দেওয়ার চেষ্টা করি,
হয়ত ঠিক মতো পারি না।
আমার ভালবাসা কিন্তু নিখুঁত।

সালমান যদি অভিষেকের জন্য অ্যাশকে ছাড়তে পারে,
তবে আমার জন্য ক্যাটকে ছাড়বে না?
সে বড় হৃদয়ের মানুষ।
অবশ্যই ছাড়বে।


আমি আমার একটা বিড়ালের নাম ক্যাটরিনা রেখেছিলাম। বিড়ালটিকে নাম ধরে ডাকলে,
দৌড়ে আসত, আমাকে আদর করত,
ওর শরীরে হার্টের চিহ্ন ছিল,
তাকে আমি হারিয়ে ফেলেছি।


তোমাকে হারাতে চাই না, তুমি আমার হৃদয়ের রানি।
সারা জাহানের সবার সামনে
আজ আমি চিৎকার করে বলতে চাই,
“ ক্যাটরিনা কাইফ, উড ইউ মাই ওয়াইফ?"
০৬-১২-১১