সে যুবকের নাম ছিলো রহমান!
ছিপছিপে কালো দেহ তার,
যেন রাতের একরাশ অন্ধকার।
মুখে বয়সের কোন ছাপ ছিলো না!
ছিলো প্রিয় হারা বেদনায় রাঙা মলিনতা!
রহমানের হৃদয়টা দুঃস্বপ্নের ঘন কুয়াশায় ঘেরা!
যে যুবক প্রিয়তমার ভালোবাসার সাগরে ডুবে ছিলো,
সে যে এতো করুণভাবে ভাসমান হবে কে জানতো!
সাগরের জল শুষিলো শকুনের দল!
নিদারুণ নিয়তির হাহাকারে থরথর করে কাঁপছে রহমান!
আজ খেয়াঘাটে হানাদারের দল,
বাড়ির সবুজ উঠানটা এখন লাল!
মায়ের নীল শাড়িটা রক্তে ভেজা,
তার নিথর দেহে সারারাত শিশির পড়েছিলো আকাশ হতে।
অন্যদিকে গুলির আঘাতে চারপাশে পড়ে আছে অসংখ্য লাশ!
তাদের করুণ মূর্তির উপর উড়ছে রাতের জোনাকি!
লাশগুলোর দাফন হবে না!
একসময় পঁচা গন্ধে বাড়ি ভরে উঠবে!
রহমানের আজ মায়ের মুখের কথা শুনতে ভীষণ ইচ্ছা করে!
সাহসী মা ছেলের বিজয় দেখতে এলোনা!
সেদিন হতে রহমান দুঃসাহসী!
সে আজ দেশের জন্য লড়ে!
তার বুকে লেখা হয় জয়ের মানচিত্র!
সে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা,
দেশকে স্বাধীন করেই হতে চায় শান্ত।