রোজ সন্ধ্যা হলে পরে বাঁশি বাজে দূরে,
           মন বলে হে মধুর সুর ধরি তোরে কি করে!
দরজা খুলে বেরিয়ে আসি বাহিরে,
     চেয়ে দেখি নির্মাণাধীন উচু উচু বিল্ডিং গুলোকে।
কোথা হতে বাজায়েছে সে,তবু দেখা যায় না আঁধারে।
       হয়তো জানেনা বাঁশিওয়ালা, তার ওষ্ঠদ্বয় যে মহামায়া ধরে!
     প্রতিদিনই ভাবি দেখিতে যাবো তার কোমল মুখ খানি।
অবশেষে নিজেকে আর সামলাতে না পারে,
          গিয়ে দেখি অদ্ভুত প্রতিভাধর এক যুবক সে!
         কালোমতো দেহ, শত কাজে নত তাহার শীর।
  বলিলাম বাঁশিওয়ালা, তোমার জীবনের বর্ণনা শুনিতে এসেছি!
  কি বলিবো ভাই,মোর জীবনের বর্ণনা যে নাই!
  পেটের দায়ে এ দেশ হতে ও দেশ যাই
            আমি ভাই কনস্ট্রাকশনের কাজ করে খাই,
   দিনের শেষে রাতের দেশে বিনোদনের খোজে বাঁশি বাজে।
কহিলাম মালিক সমিতিরে কোথা হতে আনিয়াছেন ওরে?
মালিক সমিতি কহিলো মোরে দৌলতদিয়া  হতে এনেছি ওরে,
মাস ছয় এখানেই থাকবে, তারপরে পাঠাবো অন্যকোথাও অন্যকাজে।
      অরে বাবু বাঁশি বাজিয়ে তো আর পেট চলে না!
     সমাজে চলে টাকা আর টাকায় চলে সমাজ।
  সবার শেষে কহিলো কবি হেসে,
  "অপরিচিত এ শহরে দেখিছে চেয়ে সবাই নিজের জন্যই কেঁদেছে!!!
  কোথায় ধর্মের নীতি? হারিয়েছে বহু আগে মানুষের প্রীতি"!