জীবন যুদ্ধের শেষ অধ্যায়ে যাকে হারিয়েছি,
সে ছিলো কলঙ্কিনী এক নারী!
আমার আকাশের অন্তিম নক্ষত্র!
যে আমার ভিতরে ভালোবাসা চিত্রায়ন করিতে পারে নাই!
অঞ্জলি দিয়েছে নিজের অলংকার!
তবু তাহার অনাবিল জোৎস্নায় এখনো আমার রজনীগুলো  অবলীলায় করে স্নান!
এখনো সন্ধ্যে হলে তার গন্ধে কেওড়ার ডালে লক্ষ জোনাকি জাগে!
সে হলো আমার চিরনিদ্রা, নয়নের ভাসমান অশ্রুধারা,
কাঁদিয়া যাকে সমাহিত করিয়াছি দেহে!
মোরা ছিলাম মহাশূন্যের জীবন্ত দু- গ্রহ,
এক হতেই পৃথিবীর বুকে নেমে এলো ভু-কম্প!
খসে পড়লো চিরচেনা মুহূর্ত, যেন  অন্ধকার তুষারের ঝড়!
তাহার বিহঙ্গের মত অঙ্গে যে সৌরভ ছিলো,
সেগুলো এখনো প্রবাহমান,কখনো হারায়নি!
আজো সেখানে বসন্ত দূত এসে খেলা করে!
হে কলঙ্কিনী, আজো ভোর হলে মন খুলে ডাকি তোমায়,
মেমসাহেব বলে আজো চিনি তোমায়।