নীলার ভালোলাগতো নীল আকাশ,ভেসে বেড়ানো মেঘ;
নীলা বলতো, মেঘ না,এ যেন একরাশ আবেগ!
                 হয়তো আমাদের  হৃদয়ের আকার।
সে কথা গুলো হাজার বছরের পুরানো, কিন্তু নীলার চিহ্নগুলো এখনো জীবন্ত,    
যেন মাকড়সার জালের মতো লেগে আছে শরীরে।
    এই পৃথিবীর আবহাওয়া তাকে কেড়ে নিতে পারে নি দূরে!
                  আমি দিতে আসিনি তার বিবরণ!  
তার রূপায়ন হয়েছে বহুবার  খোলা আকাশের নিচে,
সারাটা শ্রাবণ পদ্ম পুকুরের তীরে ভেজা হয়েছে দুজনে,
কচুরিপানার মতো ভেসে ছিলাম এক যুগ।
                  এখনো নীলার চুল শুকায়নি!    
বাড়ির ছাদে রোদ উঠেছে,ঝিঙে ফুল ফুটেছে গাছে,
কোথায় তুমি নীলা? চুল গুলো বয়ে গেল বাতাসে।  
একপলক দেখলাম দুটো চোখ মেঘের ভিতরে ঘুমিয়ে রয়েছে,
কিশোরী বয়স তার যেন ঐ দূরে হাসছে।  
হঠাৎ  পৃথিবীর সব আলো নিভে গেল,
  মহাশূন্যের গ্রহ গুলো  আতকে উঠলো অন্ধকারে,
             তখনই ধুমকেতুর মতো নীলা এসে বললো,
           কবি,তুমি যাবে আমার সাথে?  
আসমানী তারার ভীড়ে আমি খুজতে পারি না তোমাকে,
তোমার কোমল স্পর্শে এখনো আমার মুখ লাল হয়,
কিন্তু বহুকাল এ রূপ তোমার হৃদয়ে চিত্রায়ণ করা হয় না!
ভালোবাসার বড্ড অভাব এখানে,একটা গোলাপ ও কিনতে পারি না!
তুমি রক্তের মতো লাল কিছু গোলাপ এনে দিবে আমাকে?
গাছ থেকে ছিড়ে এনো না কিন্তু!
গোধূলির কালে এক কিশোরী ফুল বিক্রি করে পার্কে কিংবা উদ্যানে,
                    ওর কাছ থেকে কিনে এনো!  
কিছু টাকা পাবে,বেচারি অনেক গরীব,,
ওর কোমল ভালোবাসা দিয়ে রাঙিয়ে দিও আমাকে।