সেদিন বহুদিন পরে,
দেখা হল নীলার সাথে।
সে কলেজে এসেছিলো,
লাল একটা শাড়ি পরে।
অামার শৈশব পেরিয়ে
নবযৌবন এর ছোঁয়া লাগা প্রহরে।
যেন স্বপ্নের মত সে বলেছিলো,
অামাকে তার খুব ভালোলাগে।
সেই ভালোবাসার মাঝে অনেক অাবেগ ছিল
কিন্তু অামি ছুঁতে পারিনি!
জীবন ছিলো ভাগ্যের নীড়ে বাধা,
অামি সেই নীড়ে;ভীড়তে চেয়েছিলাম।
কিন্ত পারিনি ;সে ছিল লাল সূর্যের
অাভা;যার দগ্ধতায় অামার নিরাময়।
যদিও তাকে বলিনি কখনো,
ভাব হয়েছিলো;ভালোবাসি বলতেই
হারিয়ে গেলো ;অামি তাকে বাধা দিতে পারিনি;কারন বেকারত্ব মাঝে সাহস হত না;
সে সেদিন কেঁদেছিলো কিনা জানিনা;
তবে অামি কেঁদেছিলাম;কেউ দেখেনি সেটা;
সবাই চিনতো নীলাকে;অামি যেমন চিনেছি তাকে;তবে অাজ সে কলেজের টেবিলে বসে ক্লাস করতে অাসেনি;কিছু কার্ড বিলি করতে;
প্রথম কার্ডটা অামায় দিলে বললো;পরশু অামার বিয়ে অাসবেন কিন্তু;উত্তর দেওয়ার ভাষা জানা ছিলো না;তবু বললাম অাসবো;
শুনে সে খুশি হলো কিনা জানিনা;তবে দুংখের সাগরের রাণী না;বন্ধুদের সাথে নিয়ে নীলার বিয়ে খেতে;সেদিন যদি তাকে বলতে পারতাম;নীলাকে অামি ও তোমাকে ভালবাসি;হয়ত বড় ভুলের মাঝে এই দিনটা পেলাম;নীলার উপহার হিসেবে রয়ে গেলাম;
তবু সে নীলা;হৃদয়ের নীল সাগরে।