তুমি বলতে চাকরী ছেড়ে দেও,
এতো টাকা দিয়ে কি হবে!
আমি বলতাম,টাকা দিয়ে একটা দ্বীপ কিনবো!
বহমান নদী থাকবে তার ভিতরে।
পূবের দিকে থাকবে একটা বিশাল পাহাড়,
যার উপরে দাঁড়িয়ে তুমি ছুঁয়ে দেখবে ভোরের আকাশ!
তখন অবাক হয়ে তুমি বলতে, তারপর!
তারপর তোমার জন্য একটা মনোমুগ্ধকর মহল বানাতাম সেখানে।
যার উপরটা তারার ফুলে ঘেরা
ভিতরে বসিতো প্রজাপতির মেলা,
আর বাহির হতো জোনাকির আলোয় ঝিলমিল;
মহলের পাশে থাকতো সোনার তরী,
তখন রাত দুপুরে তুমি আর আমি
অবলীলায় জোয়ারের জলে ভাসতাম!
সেখানে কোনো মাঝি থাকতো না!
একপাশে থাকতে তুমি,অন্যপাশে আমি;
তখন চারিপাশে কেবলই জ্যোৎস্না,
যার আলোয় তোমার চুল হতো রূপালী!
বিলেত হতে আনা থাকতো অসংখ্য নীল শাড়ি,
তুমি তো জানো,নীল রং আমার খুব পছন্দ!
তাই সারক্ষন তুমি থাকতে নীলাম্বরী হয়ে;
দুপর বেলা গোসল শেষে যখন উঠতে মহলের লম্বা মিনারে,
তখন উপর হতে পড়িতো তুষারের স্রোত,
অপরূপ শোভায় সুভাষিত হতো তোমার রূপ!
রূপকথার রংধনু দিয়ে আপন হস্তে রাঙাতাম তোমায়।
এভাবে তুমি থাকতে আমার চিরকাল,
আমার বাস্তবে ভাসিতে আর অবাস্তবে ডুবিতে।