আমি দৃশ্যে ছিলাম
তুমি দ্যাখোনি,
আমি তোমার হাসিতে
টোল হয়ে ফুঁটেছি
আয়নাতে নিজেকে দেখতে-
তোমার লজ্জা হয় খুব
আমি উষ্ণতা হয়ে
তোমার শরীর ছুঁয়েছি
তুমি অস্ফুট স্বরে বলেছো আহ!
আবেশের নরম চোখ রেখেছো শুধু-
নিবিড় করে একবারও তাকাওনি।
উদ্দাম বাতাসের কোমলতা হয়ে
এলোমেলো ভাবে ছুঁয়ে দিয়েছি তোমার-
ঠোঁট, গাল, চুল
সেদিনও তুমি আমাকে দ্যাখোনি
বৃষ্টির প্রথম ফোঁটা হয়ে-
তোমাকে দিয়েছিলাম
এক বিন্দু স্নিগ্ধতার আশ্বাস;
তুমি স্রেফ ভিজেছিলে
আমাকে শিতলতা ভেবে
মেখে ছিলে খুব
যেন পারস্যের প্রসাধনী
আমি রোদ হয়েছি তোমার বারান্দায়
সেদিন তুমি ঘুমিয়েছ সারা বেলা
আমি মেঘ হয়েছি
ধূপছায়ার তোমার ভাবনা মেলে রাখবে ভেবে
তুমি আসোনি
আমি রাত হয়েছি
শরীরে ফুটিয়েছি
রাত প্রহরীর নক্ষত্রপুঞ্জ
তুমি আঁধার ঢুকবে ভেবে
জানালা এটে দিয়েছিলে ভালো করে
আমি দিন হয়েছি
তপ্ত বালুকাবেলায় তেতে উঠেছি
তোমার বরষাতি ভেদ করে যেতে পারিনি
আমি জল হয়েছি
তুমি নোংরা ভেবে ছোঁয়াও নি নিজেকে
হয়েছি মাঝ দুপুরের চিল
জ্বরা গ্রস্থ নীলে তোমার যত ভয়
এখন তুমি শুধুই ঘুম
এই শহরের দেয়ালে শীততাপনিয়ন্ত্রিত ঘুম
আর আমার যন্ত্রণাগ্রস্ত রাত গুলো,
ফুল্কির মত উড়ে,
ত্বকের নিচের সেই জ্বালাময় দগ্ধ লাল-
নীরবতা; সে বিপ্লব ছড়িয়ে যায় সবখানে