মেয়েটার বয়েস তিরিশ!
মুখের চামড়া  টান টান,
উঠতি ছেলেরা  আর চোখে দেখে ,
কেউ বলে দিদি,
কেউ  কেউ ভাবে একাকী ।।


চোখের চাহনি নষ্ট করতে পারে ,
উতল পুরুষের মনকে।
শরীরের ডেউয়ে ,
বশ পুরুষের চেতনা।


মৌমাছি যেমন ফুলের কাছে ,
আপন সুখের খোঁজে,
বয়ঃসন্ধি টেনে ছিল ,
শরীর মৃত্যু খাঁজে।


মেয়েটির বয়েস তিরিশ !
বয়সন্ধি তে কেউ মন ছুয়েছিলো,
আজও অত্যন্ত গোপনে বাঁচে ।


একদিন রাতে মাকে বলেছিলো,
আজ রাতে মা ....
মুখপুড়ি কি হবে এই রূপে ?
যে রূপে ঘর বসে না ।


কোন এক বসন্ত নারীত্তের সাধ দিয়েছিল,
  আজ এক বসন্ত উপহাসে ভরিয়ে দিল।


মেয়েটার বয়েস তিরিশ !
মেয়েটার বয়েস তিরিশ!


নিঃস্বাস প্রস্বাসের জন্য দুবেলা দুমুঠো ,
শরীর টা তো বাসি ।
সবাই এখন হাত তুলেছে,
মুখপুড়ি তু্ই বাকি।


মেয়েটার বয়েস দুই দিন !
গত দুই দিনের নিম্ন চাপে ,
অকাল বর্ষণ।


লাল ফুল গুলি গাছের তলায় পড়ে রয়েছে ,
মাটিতে মিশে যাবার অপেক্ষাতে.
আবার ফুল ফুটবে কোনো এক প্রান্তরে .
হয়তো বা ঝরে যাবে অকাল বর্ষণে।


হয়তো বা কেউ ছিড়ে নেবে বয়সন্ধির ডাকে,
হয়তো বা ,
কোনো পাগল একটা একটা করে ফুল তুলবে,
নোংরা জামা মুঠো করে।


আবারো কুঁড়ি ধরবে ,
কবিতা আসবে চেনা ছন্দে..।।