সে এক মায়াবী রাত্রির অখণ্ড তুলাপেঁজা নেশাতুর
আতুর ঘরের জানালা বেয়ে ছায়ারা হেঁটে চলেছে
এক পেয়ালা নেশা চড়িয়ে, পেয়ালার হাতল বেয়ে বেয়ে
নেমে আসা বরফের জ্যোৎস্নার টুপ টাপ রস, আকণ্ঠ পান করে
খণ্ড খণ্ড ছায়ারা পেয়েছে শারীর বৃত্তীয় ছন্দ।
স্নায়ুর আতশ কাচে পেয়ালার সোমরসে ডুবে
যাওয়া ঝাপসা চাঁদ হাতের মুঠো থেকে ফসকে
যায় গলন্ত পারার মতো।


নির্বাক রাস্তারা স্বগতোক্তির দীর্ঘ খাঁজে,
গুমরে কাঁদে রাত্রির চাঁদের হাটে।
ট্যান করা চামড়ার কাগুজে বিবির শাড়ীর ভাঁজে,
শরীরের উষ্ণতায় চোবানো শরাবের সরবত আর
শরীরী মাংসের চাটে নেশাতুর ছায়ারা হলুদ নাভি খোঁজে।


নষ্ট বেশরম চাঁদ, পেয়ালার শরাবি রঙ্গিন জলে,
হেঁটে চলে সিক্ত যৌনভাষে, আর চাঁদের গা বেয়ে নেমে আসা
ফোঁটা ফোঁটা রস শেষ চুমুকের অপেক্ষায়, মনের শরীর হয়ে ওঠা
ছায়ারা, হেঁটে চলে সাপের মতই এঁকে বেঁকে সেই রাত্রির স্বপ্ন হাটে।