সকালে গরম চা এর কাপের হাতল বেয়ে টুপটাপ গড়িয়ে পড়লো ভালোবাসার গাড় নিকোটিন,চামচে করে আর ও একটু বেশী করে সাজানো কথার চিনি নেড়ে নিলাম নিকষ চা তে,কাল রাতে হ্যাঁ আর না মনের আকচা-আকচি দুলছিল দোলচেয়ারের চৌপায়ায়,জানলার সূচীছিদ্র ভেদ করে আসা শবেবরাতের মত ঝলক দ্যুতিতে ধূলিমনে সাংকেতিক আকিঁবুকি,জানালার হুকে ঝোলানো তোমার সফেদ ভিতর টা মোমগলা চোখের নিকট বন্ধু,বালিশের ওপারে ছিল মৌন ছায়ার এলেম গুমোর – জ্বলতে জ্বলতে বুক পোড়া শেষ সলতের মতন,বুকের উইপৃষ্টা ঘুণে ধরেছিল – ফোপরা হয়ে যাওয়া শতছিদ্র তালশাঁস মন,হঠাৎ আকাশের গুমোট মেঘ সরে বালিশের প্রাচীর নাড়িয়ে দিয়ে, ভমর প্রজাপতি কুটোকাটা ইচ্ছারা উষ্ণতা মেখেছিল শরীরের আতুসী গন্ধমেখে,ছাইচাপা অভিমানের ক্ষণিক ডুবে যাওয়া সিক্ত চুম্বন লাভারসে,দুটি পাতা একহয়ে হাওয়ায় জড়াজড়ি – শুন্যতার ছায়াঘড়ি ফিনিক বেজেছিল স্পর্শের পেন্ডুলামে,এরপর বিছানার প্রতিবেশে বুনে দেওয়া বীজঘুম,পাস ফেরে বালিশে মুখ গুঁজে ভোরের সৌরপিপাসা,ঘুমস্ট্রিপ সকালের চর্মচক্ষু খুন করে রাতের সেই সময়, তখনো গোলাপি গন্ধে ম ম করছিল বাসিঘর,


গাছবাংলোয় বালির উঠানে চেয়ারের এলেবেলে হাতলে হেদিয়ে পড়া ল্যাকপ্যাক সকাল – গরম নিকষ পাতা চা টা বড্ড বেশী তিতকুটে.....।