আমাকে ছুঁয়ে দেখ শুনতে পাবে হৃৎপিণ্ডের টিপটাপ শব্দ
ঘুমন্ত শিশুর মতই স্তিমিত
চোখের গহীন কোণে পূর্ণগ্রাসের উদ্বেলিত ছায়া
একদিন ভেজা মাঠে রৌদ্র আল বরাবর হেঁটেছিলাম
শিরায় শিরায় উচ্চচাপে লেগে ছিল রৌদ্র জ্বালা
দিগন্ত জুড়ে চলছিল ছায়া রোদের দুষ্টুমি...
নিস্তব্ধ খাঁ খাঁ শুকনোসবুজ সারি সারি খোলা মাঠ...
আমাকে উৎকর্ণ করে...
আমার সমস্ত শরীর জুড়ে বসন্ত বিলাপ...ফাগুনের ঘ্রাণ...ফসলের ঘুম...
কাটা মঞ্জরী ধানশীষে লুকানো পীতসবুজ অঙ্কুর...


বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে ধমনী ভিজে ছিল উল্কাপাতের মতন
পাথরের পাতালের কিনারায় মুখোশের চাতাল পেতে লুকিয়ে ছিল কিছু শামুক...
আমার রক্তের মাঝে রেণু রেণু অসংখ্য সূর্য ভাসে...
আমি নোঙরের পালে ভেসে কাটায় দিল দরিয়া...প্রতিদিন-ই নৌকাবিলাস...
জীর্ণ পাতা ঝরা সময়ের সুর-তরঙ্গ ঢেউ ছুঁয়ে যায় আবেগের কোল...
আমি খুঁজে ফিরি ছাই এর মাটি...কাঁচাসবুজ উতরোল নির্জনতা
বিচ্ছুরিত মনের অলস কুচি গুলি এক করে গেঁথে একমন বানানো যায় কি?
প্রিজম কোণে রঙচটা মন ধরে রঙধনু বানাবে কি করে মালী ?