(১)


দেহের প্রতিটা সৌরকোষ মাটির কাছাকাছি দিন ভর
মুঠো মুঠো রোদ্দুর পান করে জীবিকা জিজ্ঞাসায়,
গলার ঘাম রুমালে ঘষে অহরহ তবুও বাষ্পনীল আসমানি ইচ্ছারা,
উত্তপ্ত হয়ে ওঠে না... বিশ্বাসের প্রতি ঘর পরমাণু,
নিপাট সুপরিবাহী হলেও।


প্রেয়সীর স্পর্শ ভাঁজে লুকানো গোপন উষ্ণতা বুঁদ বুঁদ,
মেরু চুম্বকীয় আকর্ষণে শুষে নিয়ে উত্তেজনার পারদে
আগুন রাঙ্গা হয়ে ওঠে আলটুসি মন
যেমন মরু সাহারার বুকে রোদের লাল ঝড়,
মিশে যায় চিক চিক করা আণবিক বালুর কণায় সম্পৃক্ত চুম্বনে।


মনের ভৌত পরিবর্তনে...মোমগলা কেমিস্ট্রি জ্বলনাঙ্ক খোঁজে,
উষ্ণতায় পোড়াতে চায় বারুদ মন।।


                       (২)


শরীরের সহস্র লোম কূপে লুকানো,
দেহের নুন জারিত জলীয় বাষ্পেরা স্বপ্ন খোঁজে,
দিনের ক্লান্তি ঢেলে রাতের বিছানায় তোমার
হিম শীতল হাতের আদুরে সোহাগী স্পর্শ
যেমন বরফের ঘরে রাত জেগে বরফ বৃষ্টির,
শীতলতা খোঁজে উষ্ণ পেঙ্গুইন রা।


                       (৩)


শীতের হাড় হিম করা ঠাণ্ডার সকালে
উষ্ণ পাতা চা এ চুমুক দিতে দিতে
খবরের কাগজে পাতায় চোখ রাখতেই
চক্ষু স্থির হয়ে গেলো এক নিমেষে...
শরীরেরে প্রতিটি তারে তারে উত্তেজনার বারুদ ঝলকে উঠলো
শিরদাঁড়া বরাবর নেমে আসে হতাশার উষ্ণ স্রোত...
কাল রাতে অসহয়তা খুন করতে চেয়েছিল কিছুটা রুগ্ন সময়...
নিমখুন চোখে ভেসে ওঠে রাতের হায়না গুলোর জ্বল জ্বলে উষ্ণ চোখ...
লোভের লালসা মাখানো পিচ কালো হাত...
ওরা যে এক অসহায় নারীর শরীরের উষ্ণতা খুঁজেছিল,
পাশবিক উন্মাদনায়।।