কয়েক টি তুষার বসন্ত গায়ে চেপে আমি এসেছি তোমাদের দ্বারে
আমার সারা গায়ে দেখ বর্ষবলয়...মাটির দাগ...রোদের গন্ধ...


নাড়ির শিকর ছিঁড়ে সকালের প্রথম ভোরে কুঁড়ে ঘরে কান্না ভেসেছিল...
আলোকের আশার ঘরে তিলোত্তমা শূন্য করেছিল অজানা পথের প্রথম সন্ধান...
কি ছিল আমার?
ধমনী তে ছিল সফেন রক্তের স্রোত...মস্তিষ্ক কুঠরি ধু ধু ফাকা মাঠ...
লজ্জা ছিল আপাদ মস্তক খোলা ...অধিবাস লগ্নে ছিল না কোনো বিষয়ী ভাবনাঘোর...
পৃথিবীর বুকে একদিন মেরুদণ্ড হল খাঁড়া...
পায়ের নিচে মাটির স্পর্শে অনুভূতি দিল সাড়া...এর পর বয়সের চাকা চলতে চলতে,আমার বুক থেকে চলে গেল কয়েক টা হলদে বছর...
আমার শাখা প্রশাখা রক্তের সম্পর্ক ভাষা বুঝেছিল আত্মীয় অনাত্মীয় বিভেদ...
শরীরের কঙ্কাল জুড়ে উলঙ্গ ইচ্ছার বাসনা...
স্নায়ুর আঁতুড়ঘরে শুরু হল আমি আর আমিত্ব এর সংঘাত...
পায়ের নীচের মাটি আমার...এই পথ, ঘাট, বন বনানী আমার...
আকাশ আমার...বাতাস আমার...পৃথিবীর সব কটি শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা আমার...
স্ত্রী, পুত্র, কন্যা আমার...আমার ভুত.. আমার বর্তমান….আমার ভবিষ্যৎ...


সব বাসা ভেঙ্গে যাবে শীর্ণ সময়...
আমার বালুঘড়ি চোখ বুজবে দুরন্ত নিশ্চিত প্রত্যয়...
তিলে তিলে জমানো বিষয়-আসয়, জমানো থাকবে অস্তবিছানার গায়...
টাকায় টাকায় তখন সম্পর্ক বিনিময়...
চৌকাঠ পেরিয়ে যাবে নদীর ওপার...ঝরাপাতা খসা তারা রাত্রি বিদায়...
শূন্যহাতে এসেছিলে শূন্যে বাঁধবে ঘর...
যদি নিখাদ অকৃত্রিম কিছু দিয়েছিলে এই জীবনের স্তরে...ভালোবাসা...
তোমার কবিতার খাতা ...তোমার নিজস্ব সৃষ্টি তোমার কলম...
থাকবে তা অনন্ত অক্ষয়...বাকি সব তুষারবৃষ্টি ভুলে যাওয়া স্মৃতির সফর...