একদিন কায়েমি রাজত্ব স্বঘোষিত রাজসিংহাসনের
হলদে মুকুট ছেড়ে বেড়িয়ে এলাম খোলা রাস্তার নীচে
দেখলাম হাজারো বোঝা নেমে গেছে ...বুকের ভিতর থেকে
সরে গেছে আস্ত গাঢ় পাহাড়...
চোখের ভিতর আয়না চেপে রেখে দেখি নিজের হিংস্র মূর্তির
সাময়িক সফেদ মুক্তি।


রাজ সিংহাসন পদমর্যাদা মুকুটের শীর্ষে উড়নি আকাশমুখি
রাজপালক অহমিকা প্রতিদিনই নিয়ে যায় কষাই এর চাবুকঘরে
মাটির শান্তি আমার জ্বালা মনে হয় ... বিষজ্বালা
অথচ একদিন যবনিকায় ওই মাটিয় দেবে নিরাপদ আশ্রয়
জমানো বিন্দু বিন্দু বাষ্পনিঃশ্বাস স্বগতোক্তির দীর্ঘ ভাঁজে  
নিয়ে যায় পাতালঘরে অতলান্তিক শুন্যতার বেরঙিন শিবিরে
ঘনরাত্রির নীল অন্ধকারে...
আমি সরে যায় জীবন থেকে কয়েক আলোকবর্ষ দূর –চারিদিকে
কেউ নেই... কেউ নেই...শুধুই নিজের দীর্ঘ নিঃশ্বাস
আমি ভাবি কোথায় আমার সম্রাটত্ব?
কায়েমি শাসনের লাল ছড়িকাঠি চালাবো কার উপর
শূন্যতা না অমোঘ অদৃষ্ট?
সিংহাসন মসনদ রাজমুকুট গভীর বেদনার রক্তস্রোত...কি অসহ্য
জ্বালামুখ!!
এর থেকে ভিখারির মত খোলা আকাশের নীচে দাড়িয়ে একবুক
খোলা বাতাস নিলেই বুঝি ভালো হত...কোনো বন্ধন নেই...
জটিল রাজতন্ত্রের মরনকূপের স্ফুটনাঙ্ক অগ্ন্যূৎপাত রহস্য খোলা যেত
আমি দ্বিধাগ্রস্ত বিভাজিত রেণু রেণু রক্তমনে...কি বিরাট প্রশ্নের মুখোমুখি...
ক্ষমাহীন ক্ষমতার তেজ না ক্ষমতাহীন মনুষ্যত্ব...আমি কার?
আমি মোহের মুক্তি দেখি ছাল ওঠা রুটির শরীরে
আমি নিজেকে খুঁজি অভাবের এঁটো থালার বিশবাঁও জলে
আমি মুকুটের জ্বালা থেকে পেতে চাই রোদের শস্য, খোলা ছায়ার মুক্তি  
প্রজার সারা শরীরের রুঢ় রুক্ষতা, আমায় ভাবায় রাজতন্ত্র কেন দরকার?
তাই রাজতন্ত্রের জীর্ণ ঝুলি থেকে অভিজাত চাঁদ কে ডুবতে বলি
পূর্ণগ্রাস চির-গ্রহণে
আমি সংগোপনে মুক্তির পথ খুঁজি...আমার মুক্তি ঘাসে ঘাসে হাসে।।