ঠিক কি যে হল সেদিন সহজ করে বলতে চাই…
কিন্তু কেন পারছি না বলতে?
আমি হাঁপিয়ে উঠছি ... ভাষা টা হারিয়ে ফেলছি...
ঠিক যেমন আলোরা পথ ভুলে অন্ধকারকে ডেকে নেয়...
বাতাস যেমন সরে সরে শূন্যস্থানে আনে রাত্রিঝড়...
আমি ও ঠিক সেরকমই এলোমেলো অগোছালো ধ্বংস ডেকে আনছি...


আমার চোখের সামনেই দেখলাম আলোরা কি ভাবে মারা যায়...
অনুভূতির আগাপাস্তলা জুড়েই ছায়ামৃত্যু...
ঠিক কিছু অদ্ভুত সময়ের অন্ধহাত সপাটে জাপটে ধরল আমায়...
কি জোড়ে ফুঁৎকার শোনা যাচ্ছে অশরীরী ভাবনার...
আমার অস্তিত্ব তখনো সজাগ...আমি শ্বাস গুনছি...
একটা উথাল পাথাল ঢেউ খেলে যায়...দিনের সফেদ আলোয় যাদের
দেখেছিলাম, আমি তাদের স্পর্শ করতে গিয়ে দেখলাম পাথরের শক্ত দেওয়াল...
অথচ কিছু সময় আগেই ওরা এসেছিল আমার দরজায়...
কড়া নেড়ে দাড়িয়ে ছিল অনন্ত প্রতীক্ষায়...


আকাশ থেকে তারা রা সরে যাচ্ছে উদভ্রান্তের মত...
অন্ধকার ভাবনারা পেয়েছে গণতন্ত্রের অধিকার...
গণতন্ত্রের ব্যাকরণ আমি বুঝি...কিন্তু আমি অধিকার বুঝে নিতে পারি না...
হাত দুটো ঠুঁটো জগন্নাথ...আমি বুঝতে চাইলেই আমি দাগী অপরাধী...
আমাকে আছড়ে ফেলে দেবে ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎ...
আমার বুকের ভিতর দিয়ে হেঁটে যাবে বোহেমিয়ান আদিমতা...
অন্ধকার কাল রাত্রিছায়া...
আমার অশনি রাত্রি জুড়ে বিষাদ ঘণ্টা বাজে...
ছেদহীন মরণ কম্পাঙ্ক বেজে চলে রাত্রিভোর...
আমাকে ছোঁড়াছুঁড়ি করে কাঙ্গালের এঁটো থালায়...
ভিখারির ছেঁড়া জীর্ণ শরীরের কুঁচকানো বলিরেখায়...


কোন বোষ্টমি একতারা হাতে মগ্ন চিন্তায়...
গেয়ে যায় ভ্রান্তিবিলাস সাম্যের জয়গান...
অন্নের অধিকার, বস্ত্রের অধিকার, মাথার উপর খোলা নয়
এমন ছাদের অধিকার...
কত নিঃশ্বাসের মৃত্যুঘুম জেগে ওঠে...
আমি ছুটি চলি রাজ সিংহাসনের চৌপায়...
রাজার সহস্রমুকুট জল-মুকুরে দেখি শোষণের প্রতিবিম্ব...
আমি বিপন্ন...রক্তের স্রোতে ভেসে চলি...
আমি চোখ বুজি অনর্থক জিজ্ঞাসায়...
আমার চোখের পাতা জুড়ে লেগে থাকে অনন্ত গাঢ় নীল বিষ...