কে গো তুমি বাজাও বাশরী নিশীথ রাতের ধারে?
তোমাকে দেখিতে মোর হিয়াখানি কেদে ওঠে বারে বারে ।
কেন এই সুরের পশরা সাজায়ে চলিছ তুমি?
অতৃপ্ত আশার রিক্ত দহনে তব জীবন মরুভুমি।
থেমে গেছে বাতাস ডাকিছে আকাশ তোমার মোহসুরে,
সুরের ভেলায় চলেছি ভেসে দুর হতে বহুদুরে।
কে দিল তোমার অন্তরে আজিকে এমন করুন ব্যাথা,
সুপ্ত আকাশ তাহারি সকাশে এমনো নিরবতা।
তাকিয়ে দেখ ঐ আকাশে শরত রাতের শশী,
গনিতেছে ক্ষণ আপনার সনে  একলা নিশীথে বসি ।
রাতের পাখিরা ঝাপটা্য় ডানা আধারের সাথে মিশি,
অব্যাক্ত বেদনায় পরশে তাই অনন্তে মিশামিশি।


অনন্ত সময় থেমে গেছে হেথা তোমার বাশির সুরে,
আধারের সাথে মিশিয়া কেন ডাক তুমি বহুদুরে।
ও কি গো বাশের বাশরী নয়কি সে অমৃত সুধা,
নিংড়ায়ে হিয়া ঢালিছ তুমি ভুলেছি সকল ক্ষুধা।
জোনাকির আলোয় তোমার সুরের সপ্তডিঙা বেয়ে,
চলে যায় সময় ঐ সুদুরে দেখি তারে চেয়ে চেয়ে।
বিদির্ন করি মোর অন্তর তোমার বাশরী বাজে,
কেন তবে হায় আমার আকাশ কালো মেঘে বারে সাজে?
নিশূতি রাতের তারারা বসায় আধারের সাথে মেলা,
সুরের পরশে তাহারি আবেশে হৃদয় ভাঙার খেলা।
উদাসে পবন বহে অনুক্ষণ যে সুর বক্ষে ধরি ,
গুমরেছে মোর অন্তর তলে আহা কি মরি মরি?
তবে কি বসন্ত চলে গেছে দুরে ঐ অনন্তের পথে?
ভুলিতে কি পার না তাহারে তুমি কখনো কোন মতে।
ঐ দুর ছায়াপথে তারাদের সাথে নিরজনে কহ কথা,
বুঝিতে আজি নাহি পারি আমি তোমারো আকুলতা।
তবে কে বেদন দিয়েছে তোমায় কাহার পরান পারে ?
হৃদয়ের সকল ব্যাকুল দহন করে আলাপন কঠিন মৃত্যুর তরে।
নাকি ঐ আধারের শশী ডুবে যাবে বলে একলা মায়া রাতে,
ডাকিছে তোমারে ভুলিতে অনুক্ষণ নিদ নাই আখি পাতে।
তোমার স্বপন ভেঙে গেছে কি ঐ অজানার পথে ,
ধুসরিত ধুলি আমারে ভুলি অপুর্ন মনোরথে।
নভোনীলে খোজ তোমার প্রিয়ারে নাকি আধার রাতে ,
দিয়েছে যে কঠিন বেদন তোমায় আপন হাতে।


তমসার ঘোর কাটিবে কি আবার রঙিন আলোর সাথে,
ভুলিবে কেমনে তোমায় বিহনে যে ঘুম গেছে রাতে।
তপ্ত মরুর জ্বালা বয়ে কি আর তোমার বাশের বাঁশি,
পরায়েছে তাহার কঠিন হিয়ায় মরমে বিদ্ধ ফাসি।
ঐ দিগন্তের কোনে দেখ আজি বসেছে কিসের মেলা,
বেসেছিলে ভালো কাহারে তুমি যে দিয়েছে তব জ্বালা।
রিক্ত ফাগুন গান গায় একা ঐ দুর গহন বনে,
মৃত্যুর তমসা ভরে কি সহসা তোমার হিয়ার কোনে?


ওগো পিয়াসী পরান ভরিয়া যে তৃষা আজি জাগে,
ক্ষুধিত হিয়া বারে বারে কেন তাহার পরশ মাগে।
ওতো নয় সুরের পশরা তীর বেধা এক পাখি,
শুন্য বাতায়ন কোনেতে বসি একেলা ডাকাডাকি।
বাজাও তোমার বাশের বাশরী নব নব সুর সেধে,
তীক্ষ্ণ অগ্র শর সম আজি আমার হিয়াতে বেধে।
তবে কি তুমি কারে বেসেছিলে ভালো যে দিয়েছে ব্যাথা,
ভুলের বাসরে ভরেছে আঙিনা যেন সে রুপকথা ।
সুর তারে ভেসে যায় সুদুরে ঐ দুর নভোনীলে
যায় ভেসে হায় উদাস পবন সিন্ধু সাগর জলে।  
ভেসে তার পিয়াসী খেয়া দুর হতে বহুদুরে,
কেন আজ তুমি বাজাও বাশরী মনের আপন সুরে?
তাকিয়ে দেখ ঐ আকাশে সাদা সাদা মেঘ ভাসে ,
নদীর ধারে ফুটেছে আজ সাদা ফুল কাশে কাশে।
যে বাশরী বাজায়ে ডাকিছ তুমি মনের আপন সুরে,
কে দিয়েছে ব্যাথা তোমাতে আবার মনের অচিন পুরে?
পুষ্প কাননে ঝরেছে কুসুম কে গাথিবে তারে মালা?
তোমার সুরের পরশে তাহার জুড়াও ভুবন জ্বালা।