চলে গেছ তুমি আধার ভেদিয়া আলোক আকুল স্বরে
চলে গেছ তুমি ফেলি আমারে শুন্য পথের ধারে।
কেমনে চিনিব তোমার সে পথ হয়েছে ধুসরিত
যেপথে তোমার পড়িত চরন কেমন সে অবারিত?
শুন্য গগনে ওঠেনা আর চাদের কিরন ধারা
পাখিরা ডাকেনা ভোর গগনে হয়ে সে আত্মহারা।
নীলিমার নীল ডুবিছে আধারে মরুর ছায়া লাগি
আধার কাননে ফুটল কুসুম কোন সে কথা ভাবি।
হে মোর নিশার স্বপন আজিকে কোথায় চলিলে তুমি
অলস প্রান্তর ভরিছে ব্যাথায় রিক্ত মরুভুমি ।
সুপ্ত বাসনা কাদিয়া  ফিরিছে মোর সে হিয়া তলে
শুন্য আখি ঝরাইয়াছে জল কুসুম উঠিছে দুলে ।
তোমার পথের ধুলা আজিকে কেন এত বিমলিন
তোমার বেদনা জ্বলে ক্ষণে ক্ষনে অবাধ্য অন্তরীন।
গোধুলির আবির নীল হয়েছে তোমার স্মরন করে
পাখির কাকলি অনাহত সুরে চলেছে হৃদয় ভরে।
আবার কি চলিতে পারিব সেই সে পথ ধরে
যে পথে রয়েছে তোমা আমা স্মৃতি থরে আর বিথরে ।  
শুকনা পাতারা  বাজাইছে নুপুর তোমার পদ ভারে
তুমি কি এমনি বাসিছ ভালো তেমনি কি কাহারে?
আসে কি এমনি চোখে জল তোমার অদৃশ্য বেদনায়
যে বেদনায় আমার হৃদয় খানিরে কুরে কুরেখায়।
বনতলে আজ বসাইল মেলা জোনাকি নন্দিনী
তোমারে স্মরিয়া  জমিছে আধার তুমি যে বন্দিনী।
সুখ সে যেন যে লইল বিদায় তীব্র ঈর্ষার ছলে
দিনে দিনে আজ ক্ষুধিত আধার আমারে লইল গিলে।


হে চির ব্যাথাতুরা প্রান!  কেমনে  ভুলিব আমি
তুমি যে মোর আশালতাভেবেছি আধার যামী।
তোমার কাননে ভরেছে আজ আগাছার জঙ্গলে  
যেখানে ফুটিত গোলাপ চামেলী জুই সে দলে দলে ।
তবে কি সবই ভ্রান্ত আশার কুহক মরিচীকা
তবে কি এই স্বপন জীবন আধারের যবনিকা?
চলে গেলে তুমি আমারে ছেড়ে অস্তাচলে রবি
তবুও ক্ষণে ক্ষণে ভাসে দুনয়নে তোমার সেই ছবি।