যেদিন আমি ঘূমায়ে পড়িব ঐ দুরাকাশের গায়,
চলে যাব একা পাড়ি দিতে সায়র দুরের নীলিমায়।
হাজার বছর পরে যদি আবার ওঠে রবির আলো,
বেদনার সকল আধারের কালিমা বাসিবে মোরে ভালো।
সেদিন কি রাখিবে মনে আমারে তোমার হিয়ার সনে ,
যদি ফোটে হায় শেফালীর সাদা তোমার আঙিনা কোনে।
মধুর বাঁশরী বেজে যাবে একা দুর দিগন্ত পারে,
থেমে যাবে যত জীবনের কোলাহল সকল রোদন ভরে।
পুষ্প কাননে ভরিবে সেথায় আগাছার ভরা ঝোপে,
গাহিবে না কেহ গীতিখানি আর আয় বৃষ্টি ঝেপে।


নিশি ভরে গাবে না ডাহুকের পাখি সকরুন রোদন সুরে,
দুরাশার খেয়ায় ভেসে যাব হায় দুরের অচিন পুরে।
নীলাকাশের নীল না দেখিব আর  শরত সকাল বেলা,
না পরাব আর আমার হিয়ায় মুক্ত প্রানের ভেলা।
আধারের রাতে তারা দেশেতে না আর দেখিব আমি ,
দুঃস্বপ্নের ঘোরে কাটবে সময় নিঃশব্দের বেলাভুমি।
তৃষিত আখি চেয়ে রবে শুধু ঐ দুরাকাশ পানে,
ভুলে যাব যত ছিল সুসময় জীবনের যত মানে।  
ফুলের বাসরে কাটবে না সময় নিশীথ রাতের বেলা,
আধারের সাথে যুঝিয়া সময় নিঃসঙ্গ পথে চলা।
মর্মরী উঠিবে শুন্য হিয়ার অতৃপ্ত যত আশা ,
ভেঙে যাবে জীবনের রঙ মাখা ভোর নিরজনের সেই বাসা।
সুপ্ত আকাশ রাতের তারারা কবে কথা তার সনে ,
জাগিবে কি তুমি আমারো সাথে ঘুম ভাঙানিয়া গানে।
রিক্ত মরুর সাইমুম ঝড়ে ভেঙে যাবে মোর বাসা
মুছে যাবে সময় যত ছিল প্রেম অনন্ত ভালোবাসা।
নীল জোসনার শেষ রাতের আলোয় নিঃস্তব্ধ বেলাভুমি,
শুন্য দোসর ভেঙে যাবে বাসর শুন্য মরুভুমি।

যদি হাজার বছর পরে-
রোদন ভরিয়া গাহ তুমি গীতি মনের আপন সুরে।
ভেসে যাব সেই সে সুরে ডেক তুমি নাম ধরে,
তোমার আখির সমুখে দাড়াবো পাথর নয়ন তরে।
তাকিয়ে দেখ ঐ  আকাশে দখিন কোনের গায়
একটি তারা হয়ে জেগে আছি আমি নিঝঝূম নিরালায়।
কব কথা সেদিন তোমার সনে একটু তাকাও যদি ,
অনিমিখ আখি জল ভরা সেথা ডুবে গেছে হায় চাদি।
পথের শেষে ক্লান্ত নয়ন আর জেগে থাকা একা তারা
ভেসে গেছে হায় আমার  নয়ন অশ্রু পাগল পারা।