বলতে পার সেই দিন এই সময়ের সেই কথা
যতই পড়িবে মনে বাড়িবে মর্মব্যাথা।
কৈশোরের  সেই দুরন্ত  দুপুর
অবাধ্য  সেই দল বাধা ছেলে চলেছে বহুদুর ।
আমি ও ছিলাম তোমাদের  দলে মাহেন্দ্র সেই ক্ষনে
আজও কেন চোখের পাতায় সেই ছবি ভাসে মনে।
আনিস গেল কোথায় ,মহুয়া গেল শ্বশুর বাড়ি
মিহির কেন জীবনের সাথে পাড়িল তব আড়ি   ।
সবুজ বরন সেই মাঠ আজো জ্বলে হিয়া কোনে
কোথা গেলি মোর দোসরেরা আয় খেলি তোর সনে ।  
চল ঐ রাসেলদের বাগানেতে করি আম চুরি
তাড়া দিলে আবার দৌড়াব করি পড়ি মরি।
আয় তোরা মোর সখারা চলে আয় ত্বরা করি
তোদের লাগিয়া পরানটি মোর ব্যাথায় উঠিছে ভরি ।
চল আবার জামাল দের ক্ষেতে দেখিতে সবুজ ধান  
করিস না দেরি আর কখনো করিস না অভিমান।    
হয়তো আর ফিরিয়া আসিবি নাকো জানি তোরা
তবুও কেন তোদের লাগিয়া এ প্রাণ দিশেহারা ।
বাসন্তী তোর বাসন্তী পুজা হলো না তবু সারা
অর্চনা গিয়াছে শ্বশুর বাড়ি জীবন দিশেহারা।


জীবন যে মোদের এতই নিঠুর জানিতাম যদি তায়
হইতাম না বড় থাকিতাম ছোট সারাটি জীবন ময় ।


আজি এ ক্ষনে জীবনে মধ্য প্রহরে  বসি
জীবনের সব ছন্দ মাখা ক্ষন কেমনে উঠিছে ভাসি ।
আয় ফিরে আয় ছেলেবেলা মোর আয় ফিরে আয় সেই মাঠ
আয় ফিরে আয় দুরন্ত কৈশোর পাঠশালার ঐ পাঠ ।
অবাধ্য সেই হৃদয় মম ক্ষুধিত পাষান সম
বেজে ওঠে আজ মোর কর্ণে ব্যাথাতুর জীবন মম।


হারানো হিয়ার মাঝে আজো বাজে তোদের জীবনগান
যেথায় থাকিস ভালো রাখুক মহা মহীয়ান ।