না পুরিল আশা মোর ভেঙেছে বাসর
জীবন গেল ফুরায়ে,
আধারের বাতি নিভিছে আলোতে
পথটা ফেলেছি হারায়ে।
সুখের স্বপন দেখিনাক আর  না গাহি
মর্মগীতি ,
ফুরায় না-ক আর বেধেছি দোসর
আধারের কাল রাতি।
নিরাশার মাঝে জ্বলে নাক আলো
ফুরায়েছে পিদীম ভাতি,
একা আনমনে এই নিরজনে
অশ্রুমালা গাথি।
আলেয়ার আলো ঢেকেছে চারিধার
না যায় তারে ছোয়া,
নীল আকাশ পারে একা একা কাদে
রাতের চাঁদোয়া।
স্বপ্ন সারথী কোথা গেল সে খুজি
তারে বারে বারে ,
অন্তর ভেঙেছে অব্যাক্ত ব্যাথায়
নিঃসীম আধারে ।
তবু কেন  এই জীবনের  পথে
শুধু হেটে চলা,
না পারি বলিতে হিয়াকোন মাঝে
যে কথা হয়নি বলা।
তৃষিত হিয়া খোজে  বারে বারে
চলে গেছে যে ক্ষণ ,
ওগো পিয়াসী রাতের ডাহুক পাখি
কেন ডাক মুগ্ধপ্রান।
যে সুখ চলে গেছে ঐ সুদুরে
তারে কি পাব ফিরে ,
অন্তর মাঝে যে ব্যাথা কাদে
বেদনার বালুচরে।


আর সহিতে নারি,
একা একা ভাসি নিরজনের খেয়ায়
নিশীথ বিভাবরী।
তব নাম লয়ে আবারো ভাসি
সপ্ত গানের সুরে,
কোথা আছ তুমি কোথা পাব তোমায়
কেন চলে গেলে দুরে।