পথের ধারে উদোম দেহে
পড়ে থাকি আমি একা,
জানিনা কেন মোর এই জীবন
শুধুই বেচে থাকা।
কেন এই বর্নিল আকাশ-
বুকের ভিতর দীর্ঘ নিশাস
তপ্ত রোদে একাই কুড়াই
জীবনের সাতকাহন,
এখন বুঝেছি ক্ষূধাতুর উদর
ক্ষুধাতেই শেষ ক্ষণ।
দেখি চেয়ে চেয়ে রাস্তার ধারে
কত কত লোকের সারি,
শত ভীড় আর লোকের মাঝে
নিজেকে চিনিতে নারি।
এ দেহ মাঝে জমে ওঠে ভাই
ক্লান্তির বেড়াজাল,
জীবন মানেই বুঝি শুধু এক
বেদনার মহাকাল ।
যেথায় শুধূ একা   ছুটে চলা
তপ্ত সময় মাঝে,
বাজেনা কোন সুরের বাশরী
আমার সকল কাজে।
শীতে কাপে আমার তনু
গ্রীষ্মের শুকায় বুক,
পিৃথিবী মাঝে খুজিয়া ফিরি
এক চিলতে সুখ।
ডাষ্টবিন আর ময়লার মাঝে
জীবনের সকল দেনা,
হয়নি কখনো নিজের তরেতে
একটুকু সুখ কেনা।
না জানি কেন বিষাদে ভরা
জীবনের প্রতিটি দিন,
আলোর মাঝে বিরাজ করে
আধার অমলিন।