সমুখে তুমি আছ দাড়ায়ে
অপলক আখি মেলে,
আবার যদি আসিতে ফিরি
নব  সিদুরের ভালে।
পরাতেম তোমায় জোসনার শাড়ি
চৈতি চাদের টিপ,
বাসিতাম ভালো যেমনি আলো
আধার রাতের দ্বীপ।
দিগন্তের ঐ আবিরের রঙে
রাঙাতেম তোমার কপোল,
দেখিতেম একা আনমনে বসি
তোমার চরন যুগল।
বাজাতেম বাঁশি তোমারে লয়ে
আঙিনার এক কোনে,
তোমারে লয়ে এখনো আমার
স্বপ্নেরা জাল বোনে।
নিশূতি রাতের আধারের সাথে
মিতালী করে আমি ,


হাসিতাম খেলিতাম ঘুরিয়া
বেড়াইতাম নিঃস্তব্ধ বেলাভূমি।
তোমার হাতের নরম ছোয়ায়
কেটে যেত মোর ঘূম,
অনেক ভালোবেসে ভোরের সকাশে
ললাটে দিতেম চুম।
হয়তো এছবি মুছে  যাবে কোন
কালের স্রোতে ভেসে,
তথা দিলেম হায় আজিকে তোমায়
অনেক ভালোবেসে।
নয়কো তুমি শুধূই ছবি
নীহারিকার দেশের আলো,
নীড়হারা পাখি ঝাপটায় ডানা
আধিয়ারের রঙ কালো।
যে স্বপন দেখি বাড়ায়ছিলে হায়
তোমার আপন বাহু ,
নিঠুর আজিকে কোন  ব্যাধে তায়
ভাঙিল মোদের গেহ।
নব নব প্রেমে রচেছি যে বাসর
তোমারে দোসর করি ,
সেথা আজ দেখি শত সিন্ধুর ঢেউ
বাতাসটা মর্মরী।
তোমারো সে ছবি দাড়ায়ে সমুখে
আমারে প্রশ্ন করে-
যাহারো লাগি এত প্রেম জমা
কি দিল তোমারে?
সহস্রের পরে অযুত রজনী জাগিলে
যাহার তরে,
কোন সে কারনে না বুঝি হায়
পর করিল তোমারে।
কোন সুদুরে বসি তুমি হায়
কোন প্রপঞ্চের সাথে?
কাটিছে তোমার নিশীথ রজনী
ঘুম হারা আখি পাতে।
সে রাতে আমার শুন্য বাসরে
সেই ছবি খানি লয়ে,
একে একে হায় দুঃস্বপ্নের সময়
যাচ্ছে শুধূ বয়ে।
এলোমেলো স্বপ্ন বেড়াজাল বোনে
বেয়াড়া অন্তর জুড়ে,
গগন বিহারী আধার নেহারী –বেদনা
জীবনের আস্তাকুড়ে।
এ ছবি কভু যাবে না-ক মুছে
মোর হিয়াখানি হতে,
তিমির রজনী হবে না-ক ভোর
অশ্রুর ধারাপাতে।