সন্ধ্যা নামিছে বাতায়ন কোনে চোখ মেলে তারে দেখি ,
চলে গেল ঐ সুদুরের পানে আমারো পোষা পাখি।
আবিরের রাগে ভরেছে আকাশ মন যেন কেমন করে ,
আখিতে উঠিছে অশ্রু ভরে ঐ দুর পারাবারে। ,
স্বপন দেখার আখি দুটি আজ অন্ধ হয়েছে যবে,
জীবনের সকল রঙ মাখা আলো এ পারেই পড়ে রবে।
নিশুতি রাতের বাশির সুরে না হরিবে আর ঘুম ,
রাতের আধারের মেয়েরা আর না দিবে কপোলে চুম।
জোনাকির আলো না বাসিবে ভালো না দিবে মেলি পাখা ,
দিগন্তের পানে দিগন্ত জুড়ে আধার মলিন রেখা।
তৃষিত পবন রবে অনুক্ষণ মৃত্যুর দুয়ার পানে,
না ভরিবে হিয়া রহিবে জমিয়া ব্যাথা ভরা কোন গানে।
সন্ধ্যা তারার আলোটুকু আর না যাবে কভু দেখা,
জীবনের শত দিবস ও বুঝি আধারের মরীচিকা।
বসন্ত বাতাস আর না দিবে বাতায়ন কোনে দোলা,
কহিবে না কেহ আয়রে পাখি কোথা তুই লেজ ঝোলা।


তবে-
কেন তবে এত স্বপন সদা বুনে চলি আপনার হিয়াকোনে,
যদি সদা হায় মৃত্যুর পরশ আমাদের কাছে টানে।
কেন এত বাসনা অতৃপ্ত রসনা তারে কেন হায় খূজি,
কেন তবে হায় বারে বারে তায় গড়ি লক্ষ পুজি।
কেন তবে হায় মিথ্যের বেসাতি বয়ে বেড়াই বারে বারে ,
অন্তর তলে হায় বসি নিরজনে কাদে যেন অঝোর ধারে।


বারে বারে জাগে উদ্দাম কলরোল জীবন নদীর কুলে,
তবুও তারে বাসি ভালো তাই বেদনার মর্ম মুলে।
গড়েছি সদা একান্তে বাসর এই ধরনীর মোহ,
অন্তরীক্ষ পানে আছ তুমি খূজিনি তোমার গেহ।
ওগো কে তুমি সদা গেয়ে যাও গীতি জীবন নদীর কুলে,
গড়িল যে বিধাতা খূজি তারে সদা জীবনের মর্ম মুলে।


পাই তারে সদা সুখে আর দুখে তবু না ডাকি তারে ভুলে,
স্বার্থের সকল পশরা সাজায়ে জীবন নাও আজি দোলে।

আবিরের রঙে রেঙেছে আকাশ কুলে নাই কোন তরী,
বিষাদের সকল ঘন ঘন মেঘ সদা ওঠে মর্মরী।
মরু তৃষা বয় অনন্ত সময় নাহি পাই কোন খোজ ,
যে ছিল সদা জীবন বাসরে সকল কাজে রোজ।
চলে গেছে সময় কেউ নাই কুলে দাড় টানি আজ ভুলে ,
উঠেছে ঝড় সিন্ধুর মাঝে ভেঙে গেছে মাস্তুলে।