আবার এসেছে শরতের নীল আাকশের নয়ন কোনে,
চলে গেছে দুরে কালো মেঘের ঘটা একেলা আপন মনে।
সাদা সাদা মেঘ কাঁদে বসি একা একান্তে নিরজনে ,
কে বুঝিবে হায় তাহারো যাতনা কিবা তাহার মানে।
ছিল একদা তাহারো সময় তাহারো বসন্ত ক্ষণ ,
কালো কালো মেঘে নীলাকাশ ঢাকি করিত গর্জন।
বাদলের পরে বাদল ঝরাইয়া ভরিত সাগর নদী,
একটুকু জল মিটাতে তৃষা কাদে বসি নিরবধি।
তাহারো ছিল সুসময় হায় ছিল আশা ভালোবাসা,
বুঝেনি ক সে শুন্য সকাশে ভাঙিবে তাহার বাসা।
আষাঢ়ের পরে শাওন ঝরায়ে তৃষাতুর বৃক্ষ দলে,
করিত শোভিত পুষ্পিত কানন ডালি ভরা ফুলে ফলে।
মাঠের পরে মাঠ ফলিত সোনার ধানে পাটে,
আজকে তাহার নিরজনে বসি শুন্য রজনী কাটে।
চলে গেছে তাহার সুসময় হায় বরষার ঘন মেঘে ,
শুন্য নীলাকাশের কোনে একা তায় ছুটে যায় উর্ধ্ববেগে।
মনে ছিল তার কত কত সাধ রবে চিরদিন বসন্ত ,
ভাবেনিক কখনো আসিবে এমন দুঃসময় অনন্ত।
পথের ক্লান্তি জুড়ে থাকে হায় জীবন সায়াহ্ন কালে,
যেমন শরতের সাদা মেঘ কাঁদে শুন্য নীলাম্বর তলে।

হে শরত রাতের শশী-
যে সময় গেছে ঐ সুদুরে অনন্ত অভিলাষী।
পাব কি ফিরে তারে আর কভু একটি দিনের তরে,
চলে গেছে যে দুর থেকে আজিকে ঐ সুদুরের পরে।