কোথা হতে আস তুমি আর কোথা যাও তুমি চলে
কোথায় তোমার নীল নীলাম্বর একটুকু যাও বলে।
যেথা ঐ নীলাকাশে মেশা দিগন্তের ভারি রেখা
সেখানে কি তোমার আধারে অশ্রুর বলি লেখা ।
তুমি কি আজিকের ষোড়শী হৃদয়ে উচ্ছল তব আশা
নাকি ঝড়ের রাতে মরন সকাশে ডানা ভাঙা পাখির বাসা।
কেমন তোমার রুপ
কালবোশেখীর বিদ্যুত ঝলকে জ্বলে ওঠা নবরুপ।
নাকি নিশুতি রাতে কেদে কেদে চলা ওই সে মুসাফির
নাকি ঝিনুক হৃদয়ে গেড়ে বসা সেই চলন অতি ধীর।
তোমাকেই খুজেছি নিশি
তুমি নাকি শুনেছি সেই চৈতি রাতের শশী।
তোমার পরশে বয়ে চলে শোনিত গতি ধারা
আমি চলি দুর দিগন্তে তোমাতে আত্মহারা।
সেদিন গিয়াছে চলি
তোমার ভাঙা হৃদয়ের দ্বারে বসন্ত পদধুলি।
আমি বেসেছি হাজার রজনীরে ভালো তোমাতে স্মরি
সেই সলাজে গগনের মেঘের এমন ফুলঝুরি।
নিতি নিতি ফিরি হাজার হৃদয়ে পাইতে তোমার খোজ
দেখি কখনো সেই পুকুরে ফোটে বেদনার সরোজ।
তুমি কি শ্রাবন রাতে অঝোর কান্নাধারা
যে বসন্ত চলে গেছে দুরে তাহাতে আত্মহারা।
আবার ভাবি নিরজনে
তুমি কি আমার হিয়ার কান্না -আনমনে।
হেমন্তের নবান্ন আসে যদি ঐ দিগন্তের পথে
তুমি আবার আসিবে কি আমার মনোরথে?
আবার যখন নিকুঞ্জে বসি গাথিছে কেহ মালা
আমি সাজাইছি তোমাকে পেতে হে এমনো বরন ডালা।
আবারো দেখি শরত প্রাতে কাশের শ্যামল  ছোয়া
সেই যে রাতে দেখেছি এই নীল নীল চাদোয়া।
আমি তোমাকেই খুজেছি হাজার নিশি নীল নদের তীরে
আমি ভুলেছি তোমারে আঙিনার মাঝে রাত জাগা প্রহরে।
তুমি তো স্বর্গের পরশ
নির্জীব এই পরিতাপের ধরা কেমনে করেছ সরস।
তুমি তো সেই কঠিন ও খড়গ করিতে চুর্ন সব
তুমি সকলের হৃদয়ে পাড়া দিয়ে কর বহ্ন্যুৎসব।
হৃদয়ে গড় মেলবন্ধন ভীতুকে দাও সাহস
মৃত্যুকে দানো জীবনের দান জীবনকে পরিহাস।
তোমার দুয়ারে কড়া নাড়ে দেখ কত জীবনের গান
কখনো তোমাকে পেতে করেছে মৃত্যুরে অপমান।
একটু তোমার পরশ পেতে হাজার ব্যাকুল মন
মরেছে দেখ পথে প্রান্তরে শত হাজার সন।
মৃত্যু বিবরে টেনে নেয় দেখ ঐশ্বর্য্য ভরা জীবন
আমি তোমাকে পেতে করেছি জীবন মৃত্যু পণ।
আমি খুজেছি তোমায়
নিশুতি রাতের শশীতে আর ভোরের শুকতারায়।
তবে কি তুমি চির অধরা
আমাতে তোমাতে রহিবে দুর হাজার পরম্পরা।
আবার ফিরে আসি
তোমার আঙিনায় যবে উঠে সেই চৈতি রাতের শশী।
আমি খূজি মোর প্রিয় মুখটি তোমার সকাশে
আজি এ মিলন মথিত বুকে জন্মের প্রকাশে।
আমি আজিও ব্যাকুলি প্রান
হাজার বছর ধরে চলা -তুমি দেবতার বরদান।
কঠিন মৃত্তিকার বুকে তুমি পুষ্প প্রসন্ন হাসি
আমি তোমাকে পেতে নরকে বসে হাসি স্বর্গহাসি।
পৌষের রাতে অগ্নি শীত আর গ্রীষ্মের সুবাতাস
মানব দানব সকলেরে তুমি দিলে এমন ফাঁস।
দিকে দিকে চলে তোমার বারতা ভালোবাসি ভালোবাসি
এই তো হাজার জীবন্ত প্রান তোমাতে পেতে নিল ফাসি।
তোমাকে পেতে রাত শেষে ওঠে ভোরের সোনা আলো
তোমার পরশে সন্ধ্যাকাশে নতুন আলো জ্বালো।
অবিরল হাস অবিরল ভাস কাদাও অকুল পাথারে
তুমি দঃখ তুমিই সুখ তোমাতে আনন্দ ঝরে।
আমি হাজার বিভাবরী তোমার ছবি হৃদয়ে করে ধারন
দুঃখ পাপে রিক্ত হাতে করেছি নিশি যাপন।


ম্লান চাদের জোসনা যখন ভরে পুকুর পাড়
আমি দেখি তোমার বুকে অশ্রুর সমাহার ।
ভালোবাসা তুমি স্বর্গের দেবতা ঈশ্বরের বরদান
তোমার আলেয়ায় বয়ে যাক আলো সকল কল্যান।