জগৎ জুড়ে তুমি নারী,
    কারো মা, কারো বোন, কারো বা স্ত্রী।
হৃদয় জুড়ে রাখো বেঁধে,
   কখনো ব’কে, কখনো ভালোবেসে,        
আবার কখনো সুমিষ্ট ব্যাঞ্জন রেঁধে ।।


একমাত্র তুমিই পারো মানুষেরে জঠোরে              
ধারণ করতে,
তুমিই পারো সন্তানের জীবন দিতে-
   মৃত্যু বরণ করতে।
শত ব্যাথা বেদনায় ধরতে পারো সংসারের হাল,
  তুমি ছাড়া সংসার যেন শুধুই টালমাটাল।।


নারী ছাড়া সৃষ্টি যেমন অলীক কল্পনা,
  বিশ্ব জানে নারীর হাতেই শোভা পায় আল্পনা।
দেশ চালাতেও তোমরা হও যেমন সিদ্ধহস্ত,
  অসুর দমনেও তেমন, তোমরা খড়গহস্ত ।।


দিকে দিকে আজ নারী তুমি অবহেলিত,
  লাঞ্ছনা, গঞ্জনা, সবেতেই তুমি অবদমিত।
পিতৃতান্ত্রিক এই সমাজে তোমার স্থান
  সবার শেষে, অচিনপুরের অন্তরালে ।।


তবে সেই দিন আর আজ নাই বহু দূরে যেদিন তুমি উঠবে আবার
  স্বমহিমায় জেগে, এলো কেশে, আপন বেশে, খড়গহস্তে অসুরের যত করবে মস্তক ছেদন ।
  বিশ্ববাসী দেখবে আবার রুদ্ররূপী মায়ের রুদ্ররূপ,
তুমি আবার পাবে ফিরে
  তোমার আসল  স্বরূপ ।।


            পলাশ