৹ লাডো সরাই ৹ Rhyme: Free Verse
বাঁ হাত ৩০ ডিগ্রী উঁচু করে
ডান হাত ২১০ ডিগ্রীতে রেখে
লাডো সরাই এর বাসার ঝুল-বারান্দায়
সামনের পার্কটির দিকে মুখ ঘুরিয়ে দাঁড়ালে
একটার পর একটা এরোপ্লেন
সকল-বিকাল-রাতে
আমার বাঁ-হাত থেকে ডান হাত বেয়ে নেমে আসে।
একটি জলন্ত সিগারেটের সাত মিনিটের আয়ুস্কালে
গড়-পড়তা দুটি বিমান এই পথে যেন নামবেই নামবে।
তবে ডান দিক থেকে বাঁ দিকে যাওয়া বিমানের গতিপথ
আমার কাকতাড়ুয়া মুর্তির চোখের আড়ালেই থাকে।
যদি এমন ধরে নেয়া যায়
আমার এই ধারণায় নেই বিন্দুমাত্র ফাঁক
নামছে বিমান উড়ছে আবার
যাচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁক।
তবে, গল্প থাকে পার্কে, দেখি
সকাল বিকাল রাতে।
খোকা খুকির ছুটাছুটি
ব্যাট-বল নিয়ে হাতে।
অনেক রকম চেচাঁমেচি
শুনতে ভারি সুইট।
মোবাইল নিয়ে ঘুরছে না কেউ
করছে না কেউ টুইট।
এই গ্রহ তে এমন খেলা
আজও আছে বেঁচে-
ইচ্ছে করে নেমে গিয়ে
বাহবা দেই যেঁচে।
মুখে ওদের কি গালাগাল
বলব কি রে ভাই-
ভবিষ্যতের দিল্লীঅলা
ট্রেনিং নিচ্ছে তাই।
পাড়ার পোষা সারমেয়রা
আসছে সাথে সাথে
ওদের খেলা আসা যাওয়া
পাচ্ছে আদর ফ্রী তে।
বল গুটিকয়, মাঝে মাঝে
উপরে এসে রয়
ছুঁড়ে দিলে বেজায় খুশী
খোকা খুকি হয়।
দিনের বেলা কেউ একজন
জল ছিটিয়ে যায়।
গাছগুলি হয় বেজায় খুশী
দূর্বাও সুখ পায়।
জলে জলে কাদা কাদা
এমনই যখন হাল
মিঠে কড়া রোদ্দুর গায়ে
ভাবি দেই এক ফাল।
চারিদিকে উঁচুউঁচু
সারি সারি ঘর
খোপে খোপে পায়রা থাকে
নয় ওরা কেউ পর।
সারাদিনই উড়ছে ওরা
বকম বকম ডাক।
মাঠের জলে কেউ দাঁড়িয়ে
করছে কিছু তাক।
কেউ একজন দিনদুপুরে
মাঝে মাঝেই আসে।
উচ্চ রবে মোবাইল ফোনে
গাল পাড়ে সে বসে।
মনের জ্বালা এমন করেই
মিটিয়ে নিয়ে ঐ
যায় সে চলে অন্য কোথাও
জানি না ভাই কই।
এক যুবতী এই তো সেদিন
সন্ধ্যা থেকে রাত
খুব চুটিয়ে ঝাড়ল কারে
অনেক লম্বা বাত।
আমার মতন খুব বয়সী
একলা আমি কেউ
মাঝে মাঝেই আসে বসে
গুণে সময় ঢেউ।
সব বেলায়ই বিমানগুলি
নামছে পরপর
লাডো সরাই লাগছে ভাল
বাঁধবো নাকি ঘর?
© পলাশ কুমার রায়, ২০২৫