বাউন্ডুলের চিঠি (পাঁচ)


‌যে ট্রেন আর থামবে না কোনোদিন, সেই ট্রেনের জলভর্তি কামরায় কীভাবে যে আমি ঢুকে পড়েছি নিজেই জানিনা ! নক্ষত্রদের মতো ছুটে চলেছে ম্যাজিক ট্রেন। দু'পাশারি খসলার ক্ষেত, মিশকালো বাবলার বন। দূরের পাহাড়ে কেউ যেন আগুন জ্বেলে দিয়েছে মনে হচ্ছে। জ্বলছে আমার কাছের মানুষটিও। এমন জ্বলন এড়িয়ে আমার খালি মনে হচ্ছে, এখানে একটি নোঙর হলে খুব ভালো হতো। খুব ভালো হতো যদি থাকতো, একটি খেয়াঘাট, আকাশ ধোওয়া জল। এই জলই তো আমার মায়া সোনাই। তুমি কি জানোনা এই জল দিয়েই রোজ আমি তোমার পা ধুইয়ে দিই ?
জলকে যে আমি বড়ো ভালোবাসি,
যেকোনো পাহাড় গড়িয়ে নেমে আসা, খুঁট ভেজা চোখের জল।