পরিচিত মুখের জ্বলন্ত বিষবাষ্পের উপহাস উপেক্ষা করে
কোন স্বার্থ ছাড়া তোর হাত ধরে অবলীলায় নিরুদ্দেশশের
পথে সকলের সামনে দিয়ে জোর পায়ে ছুটে চলা ছিল
ফাজলামো।


তোর সাথে সংগীত নিয়ে সংগীতের সুর, লয়, উপস্থাপনা,
পরিবেশন আর মেলোডি নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা হারমণিয়াম
এর সাথে সপ্তকের পর্দায় তোর আংগুলে আংগুল রেখে স্বপ্নময়
সময়গুলো কাটিয়ে দেয়া ফাজলামো।


কবিতার পান্ডুলিপি নিয়ে কবিতাকে ভালবেসে সৃজনশীলতার
অনুরণনে শব্দ আর আবেগের সমুদ্রে ডুব দেয়া, কখনও
সাঁতার কাটা, কখনও সৈকতে বসে উভয়ে উভয়ের চোখ
দিয়ে দূর সূর্যাস্ত উপভোগ করা ফাজলামো।


কত একান্ত নিজের সময়কে দূরে ঠেলে দিয়ে, কত একান্ত
নিজের ভাবনাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়ে তোর খারাপ লাগা  
জীবনের কষ্টগুলোকে সুখের অনুভূতিতে ভরে তুলতে তোর
চোখে চোখ রেখে অবলীলায় হাসির সাথে আত্মিয়তা করা
ফাজলামো।


কত সংগঠনকে পায়ে ঠেলে, অকারণ কত সুন্দরীদের নিয়ে
অপবাদের তীর্যক কথার যন্ত্রণা সহ্য করে আমার মনকে
তবুও তোর মত করে সাজাতে আজীবন দিনরাত আরাধনা
করে যাওয়া ফাজলামো।


দুজনে দুজনাকে চাওয়া, কাছে আসা, তোর সাথে ভালবাসা
প্রেম নিয়ে জীবনের সকল কর্তব্যকে পায়ে না ঠেলে দিয়ে,  
অবিবেচকের মত নিজেকে আবেগের সাগরে বিসর্জন না দিয়ে
বার্ধ্যক্যে বাস্তবতার সিঁডি বেয়ে সম্মুখে উঠে যাওয়ার চেষ্টা
করা ফাজলামো।


আসলে ফাজলামো তো ছিল সেটাই যখন প্রকৃতির আদুরে
পরিবেশে নিজেদের সঁপে দিয়ে আকাশ বাতাসের সাথে বন্ধুত্বে
মেতে সমাজকে ত্যাগ করা। তারপর কোন স্বর্গীয় ইশারার
শিহরণে নিজেদের জড়িয়ে উভয়ের চোখের জলে শংকাহীন  
প্রতিশ্রুতির স্বপ্নে ভাসানো ছিল আগামী অনিশ্চিত ভবিষত।  


ফাজলামো তো এখন আরও একটাই- সকল অনাকাংখিত  
অপবাদকে হজম করে, কলংকের গায়ে মধু খঁজে জিহ্বার
ডগায় তোর তুচ্ছ তাচ্ছিল্যতাকে উপেক্ষা করে, মোবাইল কেটে
দেয়ার ভর্তসনাকে সম্মান দেখিয়ে সত্যি করে স্বার্থহীন তোকে
ভালবাসার সাহস দেখানো!


এমন ফাজলামোতে নিজেকে জড়াতে জড়াতে, গড়াতে গড়াতে,
হারাতে হারাতে, মাড়াতে মাড়াতে যে এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছি,
কি করব বল। স্বার্থপরতা কি, ফাজলামো কি, আমি যে তা
আজও শিখলাম না, বুঝলাম না। তাই আমি বাউন্ডেলে রাস্তায়
ফাজিলই রয়ে গেলাম আজও!