তুই যখন আড্ডা শেষ করে ফিরবি
তখন আমি হয়ত বাসায় চুপ করে শুয়ে আছি।
আর ভাবছি অন্য রকম এক জীবন নিয়ে।
এ সময় কি আমার চোখ টিভির পর্দায় স্থির থাকবে,
নাকি দৈনিক পত্রিকার পাতায়, নাকি কোন বইয়ের পাতায়,
নাকি ম্যাসেঞ্জার বা ভাইবারের পাতায়! এখনও ঠিক করিনি।


আমি ঠিক এখনও জানি না।
তবে তোকে ছাড়া ক্লান্তি এসে বড্ড অবসন্ন করে আমাকে।
অনেকে বলে মনের মানুষের অদেখায় ভাবনারা নির্ঘুম করে
আগামী সময়। হতে পারে তাদের ভালবাসায় তারা আগে
তেমন ক্লান্ত হয় না। ক্লান্ত হয় না যখন অনেক ইচ্ছার পরেও
তাদের ভালবাসার মানুষটি থাকে অদেখা।


কিন্তু কি করব বল?
আমার ভালবাসা যে সব সময় ব্যস্ত থাকে তোকে নিয়ে।
তোর অবর্তমানেই বরং ঝিমিয়ে যায়, অবসাদ গ্রাস করে।
তাই কোন কিছুর জন্য এ চোখ দুটো খোলা না থেকে
হয়ত বন্ধ করে হারিয়ে যাব কোথাও। তবে যেখানেই হারাই
দিব্যি দিয়ে বলতে পারি সেখানে আর কেউ নয়
তুই শুধু তুইই থাকবি প্রতিটি ভাবনার সারাংশ হয়ে।


আমারও আজকাল কষ্ট হল এই যে,
তোকে দূরেই রাখতে হয় সারা দিনমান সব কোলাহল শেষে।  
আর সে কারনেই হয়ত তোর রাগতঃ উচ্চ স্বরের ধমক  
হয়ে যায় আমার প্রতি ইউনিফর্ম পরা রুষ্ট সোলজারের
অবশ্যই পালনীয় আদেশঃ হল্ট! হ্যান্ডস আপ!!
হতে পারে এও তোর আমাকে না পাওয়া চরম ক্ষোভ।  


আমি পথের মাঝেই থমকে যাই।
ভাবনায় আর থাকে না কোন ট্রাফিক সিগন্যাল,
ট্রাফিক পুলিশের হুইসেল, কিংবা ট্রাফিক জ্যামে বাস চাপার ভয়।
কেবল আর একটি আদেশের অপেক্ষা, সম্মুখে দৃষ্টি স্থির,
জোড়া হাত, জোড়া পা তাও স্থির।  তবে কান খাড়া হয়ে থাকে
পরবর্তী আদেশের জন্য। সেই আদেশের আশায় এখনও গুনছি
আগামী সম্ভাবনার অগনিত প্রহর।


মিরপুর থেকে বাসা ফেরার রাস্তায়
১৮৩৫ থেকে ১৯০০ ঘটিকা
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯।