ভেবেছিলাম ধীরে ধীরে জিদ্দি অভিমান গুলো নির্ভেজাল
ভালবাসার ঢলে উপড়ে যাবে যেমন দুধ দাঁত অথবা
বয়সী আক্কেল দাঁত। তার পর ভেতর থেকেই একটা
স্বস্তির অবসাদ এসে ভরিয়ে দেবে, ব্যাথারা হারাবে
অনুভূতির দেয়াল থেকে সেখানে রক্তিম সকালের উষ্ণতায়
প্রেম হারাবে বলে বিলিন হতে।


আমি চেয়ে থাকি দিনের আকাশের দিকে, দেখি আকাশ  
কি আজও নীল? কে যেন বলেছিল ব্যাথার রঙ নীল!
সে থেকেই নীল রঙ দেখলেই কেমন খামোখা বুকের ভেতরে
ব্যাথা অনুভূত হয় আমার। তাই রোদ পোড়া ঝলসানো
রক্তিম আকাশ আমাকে খুব টানে ভালবাসার মানুষ পুড়ে
পুড়ে খাঁটি হবে বলে।


সেই আকাশের দিকে কতটাকাল তাকিয়ে থাকতে থাকতে
ঘাড় ব্যাথা হয়ে গেল, অথচ আজও নীল আকাশের তো
অবসান হল না। বরং মেঘেরা এসে উড়া উড়ি করবে বলে
সেই আকাশের গায়ে এখন তাদের কেমন আয়েসি চলাফেরা।  
তার মানেই তো আবার ঘন কালো মেঘলা আকাশ, শব্দ
আবার বৃষ্টি।

কবিদের মত অভিমানের সাথে মেঘলা আকাশের ইদানিং
কেমন যেন একটা মিল খুঁজে পাই আমি। হতে পারে অনেক
অভিমানের পর চোখে কান্নার জল এমন ভাবে গড়ায় যেমন
বৃষ্টি বুকে ধরা মেঘ। যেমন গুমড়া মুখো অভিমানি মেঘের
আকাশ উপড়িয়ে দেয় মেঘের শেকড় জল হয়ে গড়িয়ে পড়তে।
তারপর আবার সুনীল আকাশ।


তাই অভিমান ধীরে ধীরে না উপড়িয়ে আবার ফিরে ফিরে  
আসে বুকের রক্তিম ভালবাসাহীন অপূর্ণ বসন্ত বাগানে যেন।  
ভালবাসার ক্ষুধা বাড়ে, সাথে সাথে জিদ বাড়ে। প্রেমের  
গভীরতা বাড়ে, সাথে সাথে জিদ বাড়ে। অথচ কেমন যেন  
ভুলেই যাই বয়স তো বাড়ে না ভালবাসার বয়স কমে। তাতে
সুনীল আকাশ, গুমড়া মুখো অভিমানি মেঘের কি যায় আসে।  
তাই ভাবি জিদ্দি অভিমান হোক নির্মল ভালবাসা।