প্রতিদিন ভোরে একটা সময়ে আমাদের
সাথে আমাদের ভালবাসারা জাগে, প্রকৃতি
জাগে, সকাল জগে, পাখিরা জাগে। তাইত
তোর আর আমার মিলন হয়, কথা হয়,
হৃদয়ে স্পর্শ হয়, আরও কত কি যে হয়!


তখন জোড়া চোখ পাপড়ি মেলে দেখে -
জানালা পথে সকালের যে রোদ উঁকি
দিয়েছে সেখানে যেন তোর ভালবাসায়
মুগ্ধ দৃষ্টিরা খেলছে, যে বাতাস বইছে  
সে যেন তোর হাতের আদরের ছোঁয়া
হয়ে শীতল করছে গত রাতের নিঃসংগ
সোহাগী প্রান।


কুয়াসা স্নিগ্ধ গাছ পালার দিকে তাকাতেই
ওর শাখা থেকে পাখপকালির যে সুর ভেসে
আসে কানে সে সুরে ভাসে তোর মিষ্টি
কন্ঠ। তখন মনে হয় তোকে ভালবেসে যে
নামে ডাকি সে নাম ধরে ডাকলেই দেখব তুই
জানালার শিখ ধরে ওপারেই দাঁড়িয়ে আছিস  
আমার ঠোঁটে পরশ বুলিয়ে দিবি বলে।


আবার ঘুমিয়ে পড়ি তবুও তাকে কি ঘুম
বলা যায়, যেখানে চোখ বুঁজলেও তুই এসে
জড়াস। কাজের ব্যস্ততায় থাকি তবুও তাকে
কি কাজ করা বলা যায়, যেখানে হাত পা
তোর অস্তিত্বই খুঁজে পায়। বন্ধুমহলের আড্ডায়
হেসে গলে পড়লেও কি আর আড্ডা মারা হয়,
যেখানে তোর প্রতিচ্ছবি থাকে চারিপাশ।


কেন এমন হয় বলত? কেন তুই সারা
দিনমান, সারা রাত আমার ভেতরে সাঁতার
কাটিস ভাবনা আর স্বপ্নের অসীম সাগরে?
কেন তুই আমার শরীরে জ্বর হয়ে আমাকে
জড়িয়ে থাকিস আমার ভেতরে না সারা
কঠিন অসুখ হয়ে, আমাকে কি তুই ইচ্ছা  
করেই অসুস্থ করে রাখিস তোর আদর পেতে!