যাত্রার তাগিদ,
কেড়ে নিল নীদ,হায় খুশির ঈদ,
আনন্দ নয় যেন শঙ্কায় যায় দিন।
মা বলে থাক না,
বাবা বলে দেখ না,বোন বলে আজ না,
কি করে বুঝাই হরতালে আজ পরাধীন।


বুকে বড় কষ্ট,
আর কত নষ্ট-হব পথ ভ্রষ্ট,
ঈদ না চাকুরীটা, নিতে হবে সিদ্ধান্ত।
কি করে যে বলি মা,
এখনও খাচ্ছ যা,আছে বলে চাকুরীটা,
নইলে না খেয়ে,অকালে যাবে সব প্রানতো।


এবার ফিরতে হবে,
নইলে চাকুরী যাবে,আবার দেখা হবে,
জীবন মিছিলে কিংবা কোন ঈদ পার্বণে।
দু’চোখ কান্না করে,
থাক এ ছুটি পড়ে,ফিরতি বাহন ধরে-
পা বাড়াই, গ্রামের বাড়ি সরে যায় পেছনে।


পথে কোন্‌ বিপদ,
জ্যামের আপদ,কিংবা অবরোধ,
এ নিয়ে শঙ্কায় দুরু দুরু কাঁপে এ মন।  
প্রিয় মুখ ছাড়ি,
দিতে হবে পাড়ি, শুধু আহাজারি
করে কি হবে? এখন এটা বাস্তব জীবন।


একি স্বাধীনতা,
কি হচ্ছে যা তা?ঘুরছে যে মাথা,
পাচ্ছি না ভেবে কি করব জীবনটা দিয়ে !
কোথায় মুক্তি,
শত শত যুক্তি,জ্ঞানীদের উক্তি,
ভেস্তে যাচ্ছে সব, এক- তাল গাছ নিয়ে।


আমরা মঝখান,
হচ্ছি খান খান,যায় যায় এ জান,
কার কি এসে যায় বিরোধী কিংবা স্বপক্ষ।
রাখতে নিজ জিদ,
কাটছে ঘরে সিঁধ,হল কি না ঈদ ,
এ নিয়ে ভাবনা কেন? গদি করছে প্রত্যক্ষ।


হায়রে খুশির ঈদ!
বিশ্বাসের ভিত,রক্ষায় দিচ্ছে তাগিদ,
আর কত যুগ যাবে মুক্তি মুক্তি করে?
চাইনা যুদ্ধ আর,
দিয়েছি রক্ত ভার,শান্তি চাই এবার,
মাকে নিয়ে গড়তে এ দেশ স্তরে স্তরে।