ইচ্ছে করে আকাশ থেকে কালো মেঘ পেড়ে এনে
তোমার দু'চোখের কাজলে ভাসি মিষ্টি জল হতে।
আর সাগরকে বলি, তোমার চোখের লোনা জল
ফিরিয়ে নিতে।আমি চাই না তোমার দু’চোখ ঝরা
লোনা জলে বিরান হোক সবুজ বনভূমি, মরু হোক
শোভিত শস্যখেত।


ইচ্ছে করে রঙধনুর সাত রং নিয়ে প্রজাপতির
পাখায় উড়ে এসে বসি তোমার দু’চোখের পাতায়,
রঙিন আলোয় ভরিয়ে দিতে। আর চোখের জলকে বলি
তোমার চোখের জলে রং না থাকলেও যে ছবি আঁকা
হয় প্রতিদিন, তাতে অজস্র রং লাগুক, রঙয়ের বন্যায়  
মাতুক তোমার রুগ্ন মন।


ইচ্ছে করে সাগরের ঢেউয়ের ছন্দে গাং চিলের পাখায়
যে হাওয়া দোল খায় প্রতিদিন সে হাওয়ার মিষ্টি ছোঁয়া
হোই তোমার চোখের পাপড়ি মেলে ধরতে। আর কষ্টের
কান্নার জলকে বলি তোমার দৃষ্টিকে ঝাপসায় না ভাসিয়ে
প্রসারিত করুক প্রকৃতিময় সকল সুন্দরের দিকে।
যেন প্রতিনিয়ত তোমার চোখের পাতারা নাচে
সৃজনশীল আলোর বন্যায়।
কখনও ইচ্ছে করে নির্জন পাহাড়ের গাঢ় অন্ধকার দু’হাতের
মুঠোয় বন্দী করে নির্ঘুম রাত্রির চাদর হোয়ে জড়িয়ে থাকি
তোমার দু’চোখের তারা ঢাকতে। যেন ঐ আঁধারের ভারে
তোমার চোখে ঘুমেরা হয় শান্ত, ফিরে যায় নির্ঘুম অন্ধকার
পাহাড়ের বুকে আরও গভীর হতে পানসে ঘুমকে জড়াতে।
তোমার ঘুমন্ত চোখের পাতা হোক গদ্যময় অঝর কবিতা।  


দূর বহু দূর আকাশের যোনির অন্ধকার গভীরে
তারাদের দেহ হারায়। যে তারারা মিটি মিটি জ্বলে,
ইচ্ছে করে সেই আকাশ থেকে অমাবস্যার কালো
রং কেড়ে নিয়ে তোমার চোখের ভুরু হোয়ে সাজতে। যেন
ঐ ভুরুর প্রাচীরে ঘেরা চোখে তুমি সুন্দর পৃথিবী দেখ
প্রতিদিন আর অনুভব করো আমার অস্তিত্ত হৃদয়ে।


ইচ্ছে করে স্বপ্নময় চাঁদের বুক থেকে কিছু  জ্যোৎস্না
চুরি করে বাঙময় লহরী স্বপ্ন হোই খাক হোয়ে যাওয়া
তোমার চোখের গভীরে বিশ্বাস হয়ে থাকতে।
যেন প্রতিদিন তুমি জেগে উঠো নতুন নতুন সৃষ্টিতে-  
আমাকে ভেতর থেকে আরও ভেতরে  টেনে জলমগ্ন
হোতে অনুক্ষন। আর তোমার স্বপ্নরা হোক বহতা নদী।