একটা সিঁড়িও মহাপুরুষকে বুকে ধারন করে
মহাকালের ইতিহাস হয়ে যায়। কেননা তার
বুকে যে মহা পুরুষ মহাপ্রলয়ের শেষ দিন তক
ছবি হয়ে, বাস্তবতা হয়ে পড়ে আ ছে।সে যে
মহাকালের শুধু মহাপুরুষই নয়, সে একজন
মহাকবি, গুরু কবিদের গুরু। যার কবিতা শুনে
কবি প্রেমিক অনায়াসে যুদ্ধে যায়, ত্রিশ লক্ষ
প্রান দেয়, স্বাধীনতার তিলক এঁকে দেয়
বিজয়ের বেশে, যার কবিতা আজও ধ্বনিত
যেন বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের প্রতিটি কনার প্রকম্পিত
ইথারে, আকাশে, বাতাসে।


কখনও মনে হয় আমি যদি সেই সিঁড়ি হতে
পারতাম, তাহলে গুরু কবিদের গুরু সেই
মহাপুরুষকে বুকে ধারন করে রাখতাম
আর বুলেট ঝাঁঝরা রঞ্জিত রক্ত হয়ে বলতাম
এ রক্ত নয়, এ আমার মায়ের মানচিত্র রঞ্জিত
বাহারি ফুলের কৃতজ্ঞতার নির্জাস যা এখনও
ধাবমান পদ্মা, মেঘনা, যমুনার স্রোত হয়ে।


ঐ মোটা ফ্রেমের চশমার চোখ যেন জীবন্ত,
চির জাগ্রত হয়ে চেয়ে থাকে হাবলের চোখ হয়ে
গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে আগামী ভবিষ্যতের দিকে।
যে ভবিষ্যতের সপ্নে, কল্পনায়, চিন্তায়, মননে শেষ
শুধুই চিত্রিত হয় বাঙ্গালী জাতির চির মুক্তি।
সিঁড়ি বেয়ে উঠে যাওয়া মুক্তির পথ যেন থেমে
না যায়, সে জন্যই গুরু কবিদের গুরু কি শেষ
নিয়েছিলেন সিঁড়ির উপর?


পরনে সফেদ পাঞ্জাবি, ছতরে লুঙ্গি তখনও ঢেকে
রেখেছিল বাঙ্গালির লজ্জা, হিংসা আর জিঘাংসার
বীভৎস রুপ আর নিষ্পাপ মায়াবী মুখমণ্ডলে যে
অভিব্যক্তি ছিল ফুটে, তাতে ছিল ঐতিহ্য, ইতিহাস,
ইতিবৃত্ত বাঙ্গালি পোষাকের, জাতীয়তার এক
অনন্য নিদর্শন ও নির্দেশ।


তুমি নীচে না নেমে উপরে উঠো, উপরে উঠতে
সিঁড়ি লাগে, দৃষ্টি লাগে আর লাগে ইউনিফর্ম।
অথচ আজ বাঙ্গালীর কোথায় সে জাতীয় ফ্যাশন,
ইউনিফর্ম রাষ্ট্রীয় পোষাকে আর প্রেরনায়।