এ কবিতার বুনন কোন নকশি কাঁথা
ছবির কথা বলুক। যেখানে মাটি মানুষ
আর প্রকৃতির গন্ধরা নির্ভয়ে চিত হোয়ে
পড়ে থাকে সমুদ্র গর্জনের বেলা ভূমিতে।
তবুও ধুয়ে যায়না সে গন্ধ, মুছে যায়না
তার খেয়ালি রং। বরং সমুদ্র পাড়ি দেয়া
ক্লান্ত বাতাস এসে কাড়াকাড়ি করে
সে গন্ধদের বয়ে নিয়ে যেতে, দূর বহু দূর
অজানা কোন কাব্যিক জনপদে।


এ কবিতার হৃদয় কোন নিঃসঙ্গ হৃদয়ের
সুর হোয়ে বাজুক। যার ছন্দহিন তন্ত্রীতে
জীবনের সুখের গান হয়েছে উধাও আর
সখ্যতা বেড়েছে নির্জন আকাশে নিঃসঙ্গ
তারাদের সাথে। কার্নিশে চঞ্চল টিকটিকির
শিকারি শব্দে তবুও ফিরে আসে অচেনা
সুরের আবহ। জোনাকির আলোর মিছিলে
খোঁজে কাঁচা প্রভাতের আলো, উপাসনালয়ের
মধুর আহ্বানে রোমকুপে জাগে শিহরণ।
মোজার্টের পিয়ানো করে স্তব্ধ কুর্নিশ।


এ কবিতার কোল জুড়ে হোক নিষ্পাপ
মুখের অভয়াস্রম। যেখানে প্রতিটি প্রানির
নির্ভেজাল আনন্দ, স্বপ্ন আর কাঙ্খিত
চাওয়া নির্ভয়ে ডানা মেলতে পড়ে থাকে
উদোম আকাশে। তবুও শকুনি কিংবা শ্যেন
দৃষ্টি পড়ে না তার মাংসল নিতম্বে, টানাটানি
করে না হায়ানার বীভৎস দাঁত। বরং সময়
এসে থমকে দাঁড়ায় সময়ের জন্য,
নিরাপত্তার চাদরে ঢাকে স্বর্গীয় সে প্রান
নির্ভার হতে আগামী মহা প্রলয়ের কাছে।


এ কবিতার নির্জাস হোক প্রতিটি প্রানির
কম্পিত ঠোঁট। এর শক্ত গাঁথুনির শব্দ
মালারা হোক ক্লাসিক্যাল রবীন্দ্র সমাজ
ছেড়েও অসভ্য মূর্খ জনপদের সাহসী
উচ্চারণ। আর বিশ্বময় আলড়োড়ন তুলতে
বাতাসের ইথার হোক কাব্য কথা বলা
অগনিত ঠোঁট। তবুও  যেন কবিতার
বুনন না হারায়, হোক প্রকাণ্ড নকশি  
কাঁথার মাঠ। যেন হৃদয় না ভাঙ্গে, হোক
সরলতার অসীম প্রান্ত। যেন কবিতার কোল
না হারায়,হোক বিশ্ব মায়ের শান্তির আঁচল।