জীবনের এতটা পথ পাড়ি দিয়ে তবুও
তোমাকে ফিরে যেতেই হল। অথচ কথা
ছিল বাকী পথটুকুও তুমি আমার পথ চেয়ে
থাকবে। এ ভাবেই হয়ত ফুরায় বাউলের পথ ।
আসলে পথ ফুরায় না জীবন থেমে যায়।
আর জীবন থেমে যাওয়া মানে ডায়েরীর
বাকী পাতা আগামী ইতিহাস শুন্য পড়ে থাকা।


ইচ্ছে ছিল ছেউড়িয়ার এমন আউলা ঝাউলা
জীবন ছেড়ে তোমার সাথে ঘর বাঁধি, কিন্তু
বাউলদের কি সংসার হয়? তবে কলিকালের
বাউলরা হয়ত পারে। কেননা ওদের কাঁধে
এখন দোতারা থাকে না। থাকে গীটার, ওদের
পরনে বাসন্তি গেরুয়া থাকে না, থাকে রং চটা
জিন্স এর প্যান্ট আর রঙিন পোষ্টারের টি-শার্ট ।  


ওদের জুলফিতে তেলচিটে রুমাল থাকে না,  
থাকে ইলাস্টিক ব্যান্ড, চোখে সানগ্লাস,
মাথায় হ্যাট। বালিকা বন্ধুরা হয় পথের
সাথী। কিন্তু আমিতো এ কালের হয়েও
সে কালের ধ্যান নিয়ে তোমায় উপেক্ষা
করেছি গুরুর সাধন ভোজনের জন্য।


ছেউড়িয়ার মাটি আমায় গভীরে টেনেছে,তাই
ভুলেছি তোমার আবাদি রসের জমিন।
গুরুর চরন আমায় খেপা বুকে টেনেছে,তাই
ভুলেছি তোমার বুকের প্রসৃত স্বর্গীয় গন্ধ।  
গানের সুর আমায় অন্তরীক্ষে টেনেছে,তাই
ভুলেছি তোমার আবেগী অনন্ত পিছু ডাক।
সাধনার মন্ত্র আমায় বাউল হতে টেনেছে, তাই
ভুলেছি তোমার নির্ভেজাল বালিকা প্রেম।


কি করব বল, বাউলের বাউরা চোখে শুধুই
খেলা করে প্রকৃতি, বুকে বাসা বাঁধে মানব প্রেম,
পথ শুরুর আগেই থেমে যায় চরণ। তুমিতো
তবুও কিছুটা পথ পাড়ি দিলে আমায় একা ফেলে,
অথচ বলে গেলে না ও পথেই হাঁটব কিনা আমি,
পাব কিনা তোমার সন্ধান বাকিটা পথের শেষে।