আমি টেরই পাইনি তোমার ভালোবাসার উষ্ণতায়
কবে থেকে যে বুকের ভেতরে জমাট বাধা কষ্টরা
গলতে শুরু করেছে । আজও হয়ত পেতাম না,
যদি না ভোরের আলোর আঁচল ধরে সুধা সমুদ্রের
ভাঙা ঢেউ এসে ধুয়ে যেত আমার নাঙ্গা পা।
সমুদ্র গর্জন সপ্তক সুরে শুনাত ভৈরবী ঠাট।
আর তোমার জন্য চাঁদের মুগ্ধতায় থমকে থাকত
জোয়ার ভাটা। তাই আজ বড্ড ইচ্ছে করছে
হাত বাড়িয়ে ছন্দময় সব ঢেউ বুকে জড়িয়ে ধরি।    


আমি এবার ঢেউয়ের হাত ধরে তাই অদুর
সমুদ্রে নেমে যাই। সমুদ্র আমাকে এমন
ভাবে দোলায় যেন তুমি আমার পাশে সাগর
সঙ্গমে হয়ে আছ লীন। সমুদ্র আমাকে এমন
ভাবে ভেতরে টানে যেন আমার উত্তেজনা
হয় বিলীন।  নীল জলের সিমানা কত দূর
তা আমি তিমির চোখ দিয়ে এক মহা সাগর
থেকে আর এক মহা সাগর হয়ে জেনে যাব হয়ত।
কিন্তু তোমার চোখ!
আমি বার বার জন্ম নিলেও যে তার সীমানা
হারিয়ে যাবে আর এক  সীমায়, কাব্য উজাড়
হবে গদ্যময়তায় অনাগত দিনে, তবুও ফুরাবেনা।


এখন সমতলে আর ফিরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না।
হোকনা অজানা উপত্যকায় সরীসৃপের সাথে
আমার বসবাস, না বলা কথারা হোকনা সমুদ্রের
হু হু নিঃশ্বাস। একের পর এক দিগন্ত হোক শুন্য,
তবুও চাইনা ডুবে মরার আগে ঐ সমুদ্রটা অদৃশ্য
হোক মরুর দেশে, আবার জন্ম নিক বুকের মাঝে
জমাট বাঁধা দুঃখ নামের নতুন মেরু প্রদেশ।
আর আমি তোমার অস্তিত্ব থেকে গোপন হয়ে যাই
হীম শীতল তুষারের মাঝে অদৃশ্য হতে।