যে দিন তুমি পঞ্চাশে পা দিলে
সেদিনও আকাশে ছিল মেঘ, ছিল বৃষ্টি।
জানালায় বসে সে বৃষ্টি ধারায় ভিজেছি
অনেকক্ষণ।  
  
তাই না বুঝেই বার বার কামনা করেছি
আকাশ ছাওয়া ঐ বৃষ্টি ধারায় যত ফোটা
জল নামে এ বিধৌত বিরস আঙ্গিনায়,
তোমার আয়ু হোক তার চেয়েও বেশী।
যদিও জানি এ আমার স্পর্ধা, তবুও
ভালোবাসার কি কোন সীমা পরিসীমা হয়!


এ ভালোবাসাটুকুও যে পাওয়া তোমার কাছেই,
যার রং সবুজ, মেঘ সবুজ, বৃষ্টি সবুজ,
রাত্রি সবুজ, সবুজ দিনের প্রতিটি আলোকণা,
আর যার ছোঁয়ায় তুমি এখনও সবুজ পঞ্চাশ  
উত্তীর্ণ জীবনের কোলাহল দিনগুলিতে।


দমে গেলে কি চলে, সৃজনশীলতায় কানাগলির
অস্তিত্ব বল কই। এখানে দিন নেই, রাত্রি নেই,
ঘুম নেই, বিরাম নেই, আছে কেবল নেশা।
সে নেশার ঘোরেই কখন তোমার পঞ্চাশটি বছর
পার হোয়ে গেল সে কথা কি মনে পড়ে।


মনে কি পড়ে, জন্মেই তুমি কেঁদেছিলে নিজেই,
বসতে শিখেছিলে, হামাগুড়ি দিতে শিখেছিলে
নিজেই, শুধু কেবল আঙুল ধরে দাঁড়াতে আর
হাঁটতে শিখিয়েছিল তোমার পবিত্র মা, তারপর
সেই যে পথ চলা তা আজও থামেনি।


জানি থামবে কোন একদিন, কেননা তাকে থামতেই যে
হয়। তবুও অনন্ত চাওয়া তুমি আরও অনেক
পঞ্চাশ পেরিয়ে যাও কেবল সৃষ্টির জন্য-
সেখানে ধ্বংস হোক উপেক্ষিত,
জীবনের সড়ক হোক নিরাপদ, ভালোবাসার জন্য-
সেখানে ঘৃণা হোক নিবৃত। আর আমাকে
ভিক্ষা দাও তোমার ক্ষমা, প্রেম, গাঢ় মমতা
আর নিরাপদ ছোট্ট জীবন।