শায়িত ওর বন্ধ চোখের পাতায় হঠাৎ থমকে যাই।
দেখি- ঐ মুখমণ্ডলে পবিত্র এক নৈসর্গিক মায়া,
যেন শিথানে আমার এক অপরিচিত জ্যোৎস্নার ছায়া,
যেন নাম না জানা কোন গুলবাগের মিষ্টি মগ্ন সুবাস
স্বপ্নে দেখা শুভ্র পরির সলজ্জ কায়ার স্নিগ্ধ আভাস।


আমাকে বৃষ্টি ঝরা ভালবাসতে শেখায়,
আমাকে ভোরের মত উদার হতে শেখায়,
আমাকে অস্ত গোধূলির মায়াবী কান্না শেখায়,
শেখায় মেঘনাদ কণ্ঠে সন্তরের হাসি,
আর শেখায়-
নদীর মত পবিত্র মানুষ হতে বেশী।


অথচ অন্য সারা বেলা নিঃশব্দ জ্ঞানে,
কেমন যেন ওর আদেশ কারনে অকারনে
ভেতরে দেয় তাড়া, ওর উপদেশ, কায়িক সাড়া,
অথবা মিনতি-অনুরাগে
কিংবা উদাশিনতায় উপেক্ষা
করতেও ভালো লাগে।


জানিনা এমন কেন হয়?
এ কেমন বিচিত্র হৃদয়!
জানিনা তার কোন ভাষা,
এ কেমন ভালবাসা!