ভালোবাসার চোখ সব খানেই এমন কেন হয়,  
এত গভীর মায়াবি দৃস্টি, তবু যেন শুন্যতা,
ভালোবাসার মন অনুক্ষন এমন কেন হয়,  
এত সম্ভার, এত সৃস্টি, তবু যেন অপূর্ণতা।


আমি বাস্তবে নিখাদ প্রেমের কথা বলছি
যেখানে থাকে পাগল করা সম্মূখ চোখাচোখি,
দৃস্টি যেন থাকে দৃস্টির ভেতর অপলক
নিভৃতে একান্তে বসে ইতস্ততঃ মুখোমুখি।


আমি ওর মায়াবী চোখের ভাষা পড়তে চাই,
আমি ওর উন্নত বুকের পরিধি মাপতে চাই,
খঁজতে চাই জীবনের মানে ওর হাতের স্পর্শে,
টের পেতে চাই পাশাপাশি ওর উষ্ণতা গা ঘেঁষে।


ভাষা হয়ে, ছবি হয়ে, কত কথা বলে-  
যখন ডিজিটাল সে আমার চোখের সম্মুখে,  
অথচ বাস্তবে সে হয়ত সাত সমুদ্রের ওপারে
এখান থেকে দূরে বহু দূরে কোথাও থাকে।


এখানে কোন স্পর্শ নেই, তবু হাত যেন থাকে-  
ওর আলতো মুষ্ঠীবদ্ধ কোমল হাতের ভেতর,
চঞ্চলতা নে‌ই,তবুও পাশাপাশি হাঁটতে  হাঁটতে  
ডিজিটাল বিকেল শেষ হয়ে যায় তরতর।  


নেটে ডিজিটাল ভাসা রঙ্গিন অবয়বে,
কত কথা হয়, হয় কত গান- অভিনয়,
ভেসে আসে কত তর্ক, মান, অভিমান,
স্পর্শ ছাড়া কি আর ওসব প্রশমিত হয়?


বাইনারী ভাষায় অনেক ঢঙ্গে চিঠি লিখা হয়,
তবুও থাকে কি তাতে সোহাগী প্রেম সুগন্ধি?
হায়রে প্রেম! হাতের স্পর্শে লিখা চিঠি আজ
ডিজিটাল ফাঁদে পড়ে, হয়েছে ফ্রেম বন্দি।


নেটে তবু ডিজিটাল প্রেম হয়, হয় ভালোবাসা,
বিরোধ হয়, হয় বিরহ চাপা ক্রন্দন,
কখনও মুখ দেখাদেখি বন্ধ, ঢের ছাড়াছাড়ি,
আবার কখনও বাস্তব মুখমুখি,হয় চির বন্ধন।